‘র্যাব হেফাজতে’ মৃত্যু: সেনসিটিভ বিষয়, দেরি করবেন না, তদন্ত কমিটিকে বললেন হাইকোর্ট
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে ভূমি অফিসের সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাড়তি দুই মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিষয়টির সংবেদনশীলতা উল্লেখ করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল-ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তদন্তের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না।
আদালত বলেছেন, এটা সেনসিটিভ ম্যাটার। বারবার সময় দেওয়া হবে না।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, 'হাইকোর্টের নির্দেশে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। তবে তদন্ত শেষ করতে কমিটির আরও দুই মাস সময় লাগবে।'
আবেদনের বিরোধিতা করে মামলার রিটকারী আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক বলেন, আদালতের আদেশের এক মাস দুই দিন পর কমিটি গঠন করেছে।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু তদন্ত করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
কমিটিকে জেলা জজ পদমর্যাদার একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং একজন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাখতে বলা হয়। ওই কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত র্যাব সদস্যদের আপাতত দায়িত্ব থেকে অপসারণেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া মামলা ছাড়া সুলতানা জেসমিনকে গ্রেপ্তার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত।
গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় অফিসে যাওয়ার পথে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র্যাব।
হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
রামেকের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মার্চ সকালে সুলতানা মারা যান।