ছেলেকে বাঁচাতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ শাহরুখের বিরুদ্ধে! দায়ের হলো মামলা
মাদক মামলায় মুক্তি পেয়েছেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। তবে মামলার রেশ এখনও রয়ে গেছে। এই মামলায় এনসিবি'র (নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো) প্রাক্তন মুম্বাই জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে শাহরুখের থেকে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এবার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠল কিং খানের বিরুদ্ধেই। ছেলে আরিয়ানকে বাঁচাতে ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন শাহরুখ, এই মর্মে বম্বে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। চলতি মাসের ২০ জুন এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
আবেদনে বলা হয়েছে, সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। ২০২১ সালে মাদক মামলায় আরিয়ান খানকে বাঁচাতে ৫০ লাখ রূপি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এই এফআইআর দায়ের হয়।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, ঠিক কী ঘটেছিল সেই সত্য উদঘাটনের জন্য নারকো বিশ্লেষণ এবং লাই ডিটেক্টর টেস্ট করতে চেয়েছিল সিবিআই।
পিটিশনে আরও বলা হয়, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১২ নম্বর ধারায় রয়েছে যদি কোনো ব্যক্তি সরকারি কর্মচারীর কাছ থেকে কোনো অনুগ্রহ পাওয়ার আশায় ঘুষ দেয়, তাহলে সেই ব্যক্তিও দায়বদ্ধ, বিচারে অন্তর্ভুক্ত।
এই আবেদনে সিবিআই-এর কাছে শাহরুখ ও আরিয়ানকেও অভিযুক্ত হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপশি মুম্বাই পুলিশের যেসব কর্মকর্তা এনসিবির প্রাক্তন কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে ক্লিন চিট দিয়েছিলেন, তাঁদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করা হয়েছে।
সিবিআই'কে এই মামলায় সত্য উদঘাটনে নারকো অ্যানালিসিস, লাই ডিটেক্টর, ব্রেইন ম্যাপিংয়ের মতো বিজ্ঞানসম্মত পরীক্ষার সাহায্য় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে চলতি জুনেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা আদেশের মেয়াদ ২৩ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে আদালত।
২০২১ সালের অক্টোবরে মুম্বাইয়ের উপকূলে প্রমোদতরী 'কর্ডেলিয়া'-য় মাদকযোগের অভিযোগে শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান-সহ আরও ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)। এনসিবির সেই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সংস্থার অন্যতম শীর্ষ অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল শাহরুখের পুত্রকে। জেলেও যেতে হয়েছিল তাকে। পরে ২০২২ সালের মে মাসের শেষের দিকে তিনি এ মামলায় বেকসুর খালাস পান।