এক মাস বন্ধের পর ইউএনএইচসিআরের আমদানি খুললো কাস্টমস
বাংলাদেশে শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) আমদানি বন্ধের আদেশ দেওয়ার এক মাসেরও কিছু বেশি সময় পর ওই অবস্থান থেকে সরে এসেছে কাস্টমস বিভাগ।
কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম মঙ্গলবার ইউএনএইচসিআর এর বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন/বিন) 'আনলক' করেছে। যার অর্থ হলো, এখন থেকে সংস্থাটির যে কোন ধরণের আমদানিতে আর বাধা নেই।
বিআইএন আনলক করার বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনার মোঃ আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, "মঙ্গলবার থেকে তাদের বিন আনলক করা হয়েছে।"
কী কারণে আনলক করা হয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি তিনি।
অবশ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "মানবিক কারণে তাদের বিন আনলক করা হয়েছে। যেহেতু সংস্থাটিকে রোহিঙ্গা রিফিউজিদের জন্য ত্রাণসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে হয়, তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
তবে অনিয়মের বিষয়টি সমাধানের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।
প্রসঙ্গত, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত ৪৬টি ভেহিক্যাল (যান) এনবিআরের অনুমোদন ছাড়া অন্য ব্যক্তি ও সংস্থার কাছে হস্তান্তরের অভিযোগে ৭৬ কোটি টাকার ডিমান্ড নোটিশ জারি করে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম। ওই টাকা পরিশোধ না করায় গত ২১ জুন সংস্থাটির বিন লক করার মাধ্যমে আমদানি বন্ধ করে দেয় কাস্টমস হাউজ। এ বিষয়ে দেশের কাস্টমস হাউজগুলোকে চিঠি দিয়ে অবহিতও করা হয়।
বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ত্রাণসহ বিভিন্ন ধরণের মানবিক কাজে জড়িত রয়েছে সংস্থাটি।
অবশ্য এনবিআরের ওই কর্মকর্তা জানান, "শুল্কমুক্ত সুবিধার গাড়ি হস্তান্তরের বিষয়ে এনবিআরের রুলস রয়েছে। ইউএনএইচসিআর-এর ভেহিক্যাল এমন কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে, যার জন্য শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু সংস্থাটি এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে।"