বেক্সিমকোর এক শিশি রেমডিসিভিরের দাম ৬ হাজার টাকা
দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো রেমডিসিভির নিয়ে এল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
মহামারি করোনভাইরাসজনিত সংক্রমণের চিকিৎসায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সংস্থা হিসেবে গিলিয়ড সায়েন্সেসের জেনেরিক সংস্করণটি বাজারে নিয়ে এল এই প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের বেসরকারি হাসপাতালের কাছে প্রতি শিশি রেমডিসিভির বিক্রি করবে প্রায় ৬ হাজার টাকায়। তবে সরকারি হাসপাতালগুলোকে বিনামূল্যে এই ওষুধ সরবরাহ করবে তারা।
ঢাকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) রাব্বুর রেজা এক সংবাদ মাধ্যমে এ কথা জানান।
তিনি জানান, গুরুতর অসুস্থ একজন কোভিড -১৯ রোগীর চিকিৎসায় কমপক্ষে ছয় শিশি রেমিডিসিভির লাগবে।
বেক্সিমকো ওষুধটি রেমডিসিভির ব্র্যান্ড নামে বিক্রি করবে বলে সংস্থাটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
রেজা বলেন, "আমরা অন্যান্য দেশ থেকেও ওষুধটি সরবরাহের অনুরোধ পাচ্ছি। কিন্তু ওষুধটি চিরাচরিত উপায়ে বিতরণ বা সরবরাহ করা হবে না। যদি কোনো দেশ আমাদের ওষুধটি নিতে আগ্রহী হয়, তবে আমরা এটি রপ্তানি করব।"
তিনি বলেন, ওষুধটি উৎপাদনে অংশীদার সন্ধানে গিলিয়েডকে সহায়তা করছে জাতিসংঘের সমর্থিত মেডিসিন পেটেন্ট পুল প্রতিষ্ঠানটি। তারাই বেক্সিমকোর সঙ্গে যোগাযোগ করে। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে রেমডেসিভির-এর লাইসেন্সে আমরা আগ্রহী কি না জিজ্ঞেস করে তারা।
প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ফিরতি জবাবের অপেক্ষায় আছে বেক্সিমকো।
গিলিয়েড পাঁচটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে রয়্যালটি-ফ্রি রেমডিসিভির তৈরির অনুমোদন দেয়।
এর মধ্যে আছে ভারতের সিপলা লিমিটেড ও মাইলান এনভি, পাকিস্তানের ফিরোজসন ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওষুধটির জেনেরিক সংস্করণ তৈরি করে ১২৭টি দেশে বিক্রি করার অনুমোদন দিয়েছে।
ব্লুমবার্গের সংকলিত তথ্য অনুসারে বিশ্বের বৃহত্তম সার্বভৌম তহবিল নরওয়ের নর্জেস ব্যাংক। বেক্সিমকোর মোট শেয়ারের ৩% নিয়ন্ত্রণ করে এই ব্যাংকটি।