কক্সবাজারে পানিবন্দি ১৫ ইউনিয়ন, ঢলে যুবকের মৃত্যু
টানা বৃষ্টি, জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার জেলার ১৫ ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আজ সোমবার পাহাড়ি ঢলে আসা কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে চকরিয়ার মাতামুহুরি নদীতে ভেসে যায় এক যুবক। ২ ঘন্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, বিকাল ৩টার দিকে তার মরদেহ মাতামুহুরি নদীর লক্ষ্যরচর মোহনা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়ার অফিস।
আবহাওয়া অফিসের কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যাবেক্ষণ কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র দাশ জানান, রোববার বিকাল ৩টা থেকে সোমবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া, সোমবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৮১ মিলিমিটার। আগামী আরো ৩ দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, পাবর্ত্য জেলা ও চকরিয়ার পাহাড়ী ঢল নেমে আসার মাধ্যম মাতামুহুরী নদী। পাহাড়ী ঢল, বৃষ্টি এবং জোয়ারের ঢেউয়ে বাঁধ ভেঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে কাকড়া, লক্ষ্যরচর, বুমুবিল ছড়ি, সুরেজপুর-মানিকপুর, কৈয়ারবিল ও কোনাখালী ইউনিয়ন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, 'প্রাথমিকভাবে প্লাবিত এলাকার লোকজনকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে।'
এদিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
সামুদ্রিক জোয়ারের ঢেউয়ে সৈকতের লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় এ ভাঙন চলছে।
মেরিন ড্রাইভের কিছু অংশে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হলেও, নতুন করে আরও কয়েকটি জায়গায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।