ব্রিকসের সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ পেল ছয় দেশ, তালিকায় নেই বাংলাদেশ
উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের সদস্য হওয়ার জন্য ছয়টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নতুন সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পাওয়া ছয় দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ। যদিও সম্মেলনের আগে এ জোটে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়টি জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছিল।
সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ পাওয়া দেশ ছয়টি হলো—আর্জেন্টিনা, মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এই দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ব্রিকসের বর্তমান সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো: ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে জোটটির সম্প্রসারণ ইস্যুতে ব্যাপক আলোচনা চলে। নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারছিল না সদস্যরা। বাংলাদেশসহ ২০টি দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। অবশেষে আগ্রহী দেশগুলোর মধ্যে থেকে ছয়টি দেশকে সদস্যপদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
আগামী বছর, ২০২৪ সালের প্রথমদিন থেকেই এ ছয়টি দেশের সদস্যপদ কার্যকর হবে। নতুন ছয়টি দেশকে সদস্য হিসেবে গ্রহণ করার পর ব্রিকসের মোট সদস্য হবে ১১টি।
বিশ্বের মোট জিডিপির এক-চতুর্থাংশই ব্রিকস জোটের দখলে। এই পরিস্থিতিতে বেইজিং ও মস্কোর নেতৃত্বে পশ্চিমা পরাশক্তির দেশগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নতুন কয়েক ডজন আগ্রহী দেশকে জোটে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারটি বহু আগে থেকেই আলোচিত হচ্ছে।
যাত্রা শুরুর এক দশকের বেশি সময় পর প্রথমবারের সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিল জোটটি। এর মাধ্যমে গ্লোবাল সাউথ বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে নিজস্ব অবস্থান দৃঢ়করণ এবং গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭)-ভুক্ত উন্নত দেশগুলোর বিকল্প মডেল দাঁড় করানোর লক্ষ্যও রয়েছে ব্রিকসের।
বৈশ্বিক জিডিপিতে মোট অবদানের দিক থেকে ব্রিকস ইতিমধ্যে জি-৭ অর্থনীতিগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। একটি প্রক্ষেপণে অনুমান করা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে ব্রিকস দেশগুলো বৈশ্বিক জিডিপিতে ৫০ শতাংশের বেশি অবদান রাখবে। জোটটির সম্প্রসারণ এই প্রবণতাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
সম্প্রসারণের বাইরেই বর্তমানে ব্রিকস দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা রয়েছে ৩৪২ কোটি, যা বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ। ২০২১ সালে এই জোট বৈশ্বিক জিডিপিতে ৩১.৫ শতাংশ বা ২৬.০৩ ট্রিলিয়ন ডলারের সমান অবদান রাখে। আর বিশ্ববাণিজ্যে তাদের অবদান ১৮ শতাংশ।