‘আমার গডফাদার থাকলে আমিও বড় বাজেটের সিনেমা পেতাম’, বলিউড নিয়ে বিস্ফোরক আমিশা
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অযাচিত মন্তব্যের কারণে বারবারই সমালোচিত হয়ে এসেছেন আমিশা প্যাটেল। ২০০০ সালে 'কহো না পেয়ার হ্যায়' দিয়ে বলিউডে অভিষেক তার; আর প্রথম ছবিই পেয়েছিল আশাতীত সাফল্য। প্রথম ছবি থেকেই পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ারের মতো সম্মাননা। এরপর কাজ করেন একটি তেলেগু সিনেমা বদ্রি-তে, সেটিও ছিল হিট। এর পরের বছর মুক্তি পায় 'গাদার: এক প্রেম কথা'; সেই ছবিও ব্লকবাস্টার।
তবে আমিশার ক্যারিয়ার পড়তে শুরু করে এরপর থেকেই। ইয়ে হ্যায় জলওয়া, আপ মুঝে আচ্ছে লাগনে লাগে, কেয়া ইয়ে পেয়ার হ্যায়-এর মতো ছবি মুথ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। এই সময় আমিশাকে হাত ধরে টেনে তোলে 'হামরাজ' ছবিটি, যেখানে তাঁর সহ-অভিনেতা ছিলেন ববি দেওল ও অক্ষয় খান্না।
তবে ২০০৩-এর পর থেকে আর বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখা হয়নি আমিশার। মাঝে একটি আইটেম ডান্স করেন 'লেজি লামহে' নামে; খোলেন নিজের প্রযোজনা সংস্থা। তবে কিছুতেই কোনো লাভ হয়নি। তবে বর্তমানে বক্স অফিসে সুপারহিট আমিশা ও সানি দেওল অভিনীত 'গাদার-২', যা ৫০০ কোটির ক্লাবে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু এই সানির সঙ্গেই বছর তিনেক আগে কাজ করেছিলেন 'ভাইয়াজি সুপারহিট'-এ, যা ছিল ডাহা ফ্লপ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন নিয়ে কথা বললেন আমিশা। এই তারকার দাবি, তাঁকে টার্গেট করা হয়েছিল, এমনকি তাঁর সিনেমা বক্স অফিসে না চললে তিনি ইন্ডাস্ট্রি থেকে কোনো সাহায্যই পাননি। কারণ চলচ্চিত্র পরিবার থেকে তিনি আসেননি বলিউডে।
আমিশার ভাষ্যে, 'আমি যদি চলচ্চিত্র সমিতির অংশ হতাম, আমার যদি একজন গডফাদার থাকত, তাহলে সিনেমা না চললেও বলিউডের বড় বড় প্রজেক্টে আমি ডাক পেতাম। যদিও আমি সেসব নিয়ে ভাবি না। হতে পারে, আমার জন্মই হয়েছে শুধু ব্লকবাস্টার ছবিতে কাজ করার জন্য।'
কথা প্রসঙ্গে আমিশা বলেন তাঁর অভিনয় করা একটি ছবি বক্স অফিসে ব্যবসা করতে না পারায়, তিনি নিজের পারিশ্রমিক পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছিলেন।
'আমার মনে হয়েছিল ওই পরিস্থিতিতে উল্টোদিকের মানুষটার পরিস্থিতি বোঝাটা বেশি দরকার। কেউ আমাকে জোর করেননি সেটা করতে। কিন্তু প্রযোজককে সম্মান দেখাতে নিজেই সেটা করেছি। আমার মনে হয়েছিল সেই সময় সেই কাজটাই ঠিক ছিল', বলেন আমিশা।