বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি, প্রয়োজনে ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে: নসরুল হামিদ
সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) বিক্রি হচ্ছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, "আজ থেকে বাজারে মনিটরিং বাড়ানো হবে।"
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, "সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করেছে, তার চেয়ে ১০০-২০০ টাকা বেশি দামে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে। এরপর থেকে মনিটরিং বাড়ানো হবে। প্রয়োজনে ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।"
"অনেকে গ্যাস লাইনের জন্য আসেন, এখন এর প্রয়োজন নেই। এখন থেকেই এলপিজিকে সর্বাত্মকভাবে জনপ্রিয় করতে হবে," যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, "তিতাস গ্যাসের বেশির ভাগ পাইপলাইনের বয়স ৫০-৬০ বছর। এক্ষেত্রে তিতাস একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, কিন্তু পাইপলাইন ঠিক করতে ৫-৬ বছর সময় লাগবে।"
দেশের গ্যাস সম্পদ কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে জনগণকে নির্দেশনা দেওয়া হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "এজন্য একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।"
নসরুল হামিদ বলেন, দেশে বছরে ১৪ লাখ টন এলপিজি ব্যবহার হচ্ছে।
"এটিকে নিরাপদ করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোকান ও হোটেলের সামনে যত্রতত্র সিলিন্ডার পড়ে আছে, সেগুলোকে নজরদারির আওতায় আনা হবে," যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ভোক্তা পর্যায়ে গেল আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১,২৮৪ টাকা নির্ধারণ করে।