বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির শুভেচ্ছাদূত তামিম ইকবাল
প্রায় এক মাস ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বেশি সময় কেটেছে তামিম ইকবালের। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন অবস্থা ছিল দীর্ঘ সময় ধরে। এ সময়ে ক্রিকেটভক্তদের বিনোদন যোগাতে দেশি-বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে নিয়মিত লাইভ করে এসেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
এবার আরও বড় উদ্যোগের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করলেন তামিম। বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি। এমন একটি কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
তামিম বলেছেন, 'আমি জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিযুক্ত হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এই সংস্থাটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করার জন্য কাজ করে চলেছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় মাত্রায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তবুও দারিদ্র্যের হার এখনও প্রকট, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে।'
তামিম আরও বলেন, 'চলমান কোভিড-১৯ মহামারী অনেকের জীবনকেই আরও বেশি সংকটময় করে তুলেছে। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করার আশা রাখি, যেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে।'
তামিমকে সঙ্গে পেয়ে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রাগান উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, 'তামিম একজন সফল ক্রিকেটার। যে দেশে এবং বিদেশে অনেকের কাছেই সমানভাবে প্রিয়। জনপ্রিয়তা ও নাগালের পাশাপাশি তামিমের রয়েছে কর্মক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য রকমের নৈতিকতা, মানুষের প্রতি সমবেদনা ও জনহিতকর কাজের স্পৃহা। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পরিবারে তাকে পেয়ে আমরা ভীষণভাবে উচ্ছ্বসিত।'
সরকারের সহযোগিতায় ক্ষুধাশুন্যতা অর্জনের জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি কীভাবে কাজ করে চলেছে, শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করার সময় তামিম খুব কাছ থেকে সেটা দেখার সুযোগ পাবেন। সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বিভিন্ন কার্যক্রম জনগণের কাছে তুলে ধরবেন তামিম।
১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। এখন পর্যন্ত ১৫৫ মিলিয়ন অরক্ষিত ও খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করেছে তারা। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ১.৭ মিলিয়ন মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। বাংলাদেশে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যা দেশব্যাপী ৬৪টি জেলায় স্কুলে খাদ্যপ্রদান, পুষ্টি ও জীবিকার পাশাপাশি কক্সবাজারে শরণার্থীদের নিয়ে অনেক ধরনের কাজ করে থাকে।