মৎস্যজাত পণ্যের আমদানি-রপ্তানি সহজ করতে লাইসেন্স ও সার্টিফিকেট মিলবে অনলাইনে
মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় সকল লাইসেন্স ও পণ্য পরীক্ষার সার্টিফিকেট মিলবে অনলাইনের মাধ্যমেই। এই উদ্যোগ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে আরও বেশি সহজ ও বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াবে বলে মনে করছে সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ।
বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে মৎস্য অধিদপ্তরের আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত ই-সার্টিফিকেশন এবং ল্যাবরেটরি তথ্য ব্যবস্থাপনা সেবার অটোমেশনের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মৎস্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)-এর অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্প যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
জানা যায়, মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করতে ২০টি লাইসেন্স ও পণ্যের ল্যাব টেস্টের সার্টিফিকেটের জন্য দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে হবে না। অটোমেশনের কারণে অনলাইনের মাধ্যমেই এই সেবা মিলবে।
ই-সার্টিফিকেশন সিস্টেম ডিজিটাল করায় লাইসেন্স, স্বাস্থ্য সনদ, আমদানিকারক দেশের চাহিদা অনুসারে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সনদ, আমদানি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, অনাপত্তি সনদ, পেমেন্ট, স্যাম্পল কালেকশন, ইন্সপেকশন, টেস্ট রিপোর্ট, সার্টিফিকেট ইস্যু করার মত সেবাগুলো এখন দ্রুত পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে কাস্টমস সরাসরি যুক্ত থাকবে বলে বন্দরগুলোতেও পণ্য নিয়ে আর সময়ক্ষেপণ করার দরকার পড়বে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের ই-সার্টিফিকেশন এবং ল্যাবরেটরি তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বাংলাদেশের মৎস্য খাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সংযোজন। স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের একটি ধাপ এটি।
তিনি বলেন, "আমদানিকারক দেশের কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করতে এই অটোমেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এটি আমাদের নতুন পদক্ষেপ।"
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক বলেন, একটা পণ্য পরীক্ষার বিষয়গুলো কোন পর্যায়ে আছে তা ড্যাশবোর্ডে সেবাগ্রহীতারা সব সময় দেখতে পারবেন। এতে সময় ও ব্যয় দুই-ই কমবে।
তিনি বলেন, এক-দুই মাসের মধ্যে কাগুজে লাইসেন্সিংয়ের আবেদন নেয়া বন্ধ করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমদানি-রপ্তানিকারকরা জানান, অটোমেশনের কারণে তাদের সময় ও ব্যয় দুটোই বাঁচবে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা অনুযায়ী হেলথ সার্টিফিকেট দিতে পারায় পণ্যের গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পাবে। এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়াতেও সহযোগিতা করবে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ফ্রোজেন ও লাইভ ফিশের রপ্তানি ছিল ৪২২ মিলিয়ন ডলার; ২০২১-২২ অর্থবছরে যা ছিল ৫৩২ মিলিয়ন ডলার।