গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে ‘পশর নদীর বাঁকে’
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩' এর মঞ্চে মঞ্চস্থ হতে চলেছে গীতিনৃত্যাভিনয় 'পশর নদীর বাঁকে'। বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে এই নাটক পরিবেশন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ।
দেবজ্যোতি বিশ্বাসের গ্রন্থনা এবং দীপ্ত সেনের নির্দেশনায় গীতিনৃত্যাভিনয়টির সহ-নির্দেশনা ও নৃত্য পরিকল্পনা করেছেন অদ্রি দাস দ্যুতি, আবহসঙ্গীত পরিকল্পনায় আছেন অর্ঘ্য প্রতীম সরকার, সেট ও প্রপস ডিজাইন করেছেন তালহা জাহান প্রান্ত এবং পোশাক পরিকল্পনায় কাজ করেছেন রওনক জাহান রাকামনি।
'পশর নদীর বাঁকে' এর গ্রন্থকার দেবজ্যোতি বিশ্বাস বলেন, এটি একটি গ্রামের গল্প। যেখানের লোকজন জীবিকার জন্য সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। এখানে সমাজে নিম্নবিত্তদের ওপর উচ্চবিত্তদের শোষণ ও ক্ষমতার প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। বনবিবি, বাঘবিধবাসহ সুন্দরবন অঞ্চলের নানা সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে।
প্রধান নির্দেশক দীপ্ত সেন বলেন, সুন্দরবনের পশর নদীর কোল ঘেঁষে গ্রামীণ মানুষের নিত্যদিনের জীবনগাথা, প্রকৃতি ও শোষকের সাথে তাদের লড়াই, প্রেম ও বিরহের এক চমৎকার মেলবন্ধনকে দর্শকের কাছে তুলে ধরবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ তৃতীয়বারের মতো এই উৎসবে অংশ নেবে জানিয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অনিক ধর বলেন, আমরা সব সময় শুদ্ধ বাংলা সংস্কৃতির চর্চা করে আসছি। তাই দুই বাংলার এই উৎসবে আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছি।
৬ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। এতে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের শতাধিক সাংস্কৃতিক শিল্পী। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং সাউথইস্ট ব্যাংকের সহযোগিতায় উদযাপিত হচ্ছে এই উৎসব।