গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত, ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বাড়ালো যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের পঞ্চম দিনে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে গাজায়। এ অবস্থায় ইসরায়েলের প্রতি তার সমর্থন দ্বিগুণ বাড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কেউ যাতে পরিস্থিতির সুবিধা না নেয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন বাইডেন। এদিকে ইসরায়েলও গাজায় স্থল আক্রমণের মাধ্যমে তাদের হামলার পরিসর বাড়াবে বলে জানিয়েছে।
এ অবস্থায় প্রায় ৩ লাখ সংরক্ষিত সেনাকে যুদ্ধে যোগদানের আদেশ দিয়েছে ইসরায়েল। সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা।
আজ (১১ অক্টোবর) যুদ্ধের পঞ্চম দিনে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৯৫০ ফিলিস্তিনি ও ১২০০ ইসরায়েলি।
মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইসরায়েলের কাছাকাছি চলে গেলে গাজায় গণহত্যা শুরু হবে: এরদোগান
ইসরায়েলের কাছাকাছি তাদের একটি বিমানবাহী রণতরী নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোগান।
এর ফলে গাজায় 'ভয়াবহ গণহত্যা' চলবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
শনিবার ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার পর রোববার মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বিমানবাহী রণতরী গ্রুপকে ইসরায়েলের দিকে সরিয়ে নেবে; এতে রয়েছে ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড।
আঙ্কারায় অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর কার্ল নেহামারের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইসরায়েলের কাছে যেয়ে কী করবে, কেন তারা যাবে সেখানে? নৌযান ও তার ওপর থাকা বিমান আসলে কী করবে? তারা গাজা ও এর আশেপাশের অঞ্চলে আঘাত হানবে এবং সেখানে ভয়াবহ গণহত্যা চালাবে।"
এরদোগান এর আগে বলেছেন, তুরস্ক ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি বাহিনীর মধ্যে শান্তি নিশ্চিতে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত।