রপ্তানির তথ্যে গড়মিলের কারণ খুঁজবে এফবিসিসিআই
রপ্তানির তথ্যে বিপুল গড়মিলের কারণ খুঁজতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। সংগঠনটি দেশের শীর্ষ রপ্তানিকারক সংগঠনগুলোর নেতাদের নিয়ে এক বৈঠকে সদস্যদের রপ্তানিকৃত অর্থ কী পরিমাণ আটকে আছে, তা জানতে চেয়েছে।
বৈঠক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সংগঠনগুলো শিগগিরই এ বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে এফবিসিসিআইকে জানাবে এবং এরপর এফবিসিসিআই তা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে জানাবে।
এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মুনির হোসেন বলেন, "এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি) এর রপ্তানির হিসাবের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যের অনেক গ্যাপ রয়েছে। এ গ্যাপ কেন তা আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি। এজন্য রপ্তানিকারকদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে।"
"তথ্য পেলে আমরা পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাবো এবং প্রকৃত রপ্তানি ও গ্যাপ কত– তা বের করার জন্য অনুরোধ করবো।"
ইপিবি'র হিসাব অনুযায়ী, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি হয়েছে ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে যে প্রসিড রিয়েলাইজ হয়েছে, তাতে পার্থক্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।
এত বড় গ্যাপ হওয়ার পর অভিযোগে তীর রপ্তানিকারকদের দিকে, অর্থাৎ রপ্তানির টাকা দেশে আসছে না বলে বলছেন অনেকেই।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান বলেন, "আমরা তথ্য সংগ্রহ করে শিগগিরই তা এফবিসিসিআইকে জানাবো।"
ওই সভায় পোশাক রপ্তানিকারকদের অপর সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বিজিএমইএ ও তাদের সদস্যদের কী পরিমাণ রপ্তানির অর্থ দেশে আসেনি, তা সংগ্রহ করে এফবিসিসিআইকে জানাবে।
গত কয়েক বছর ধরে রপ্তানি ও প্রসিড এ গ্যাপ বাড়ছে এবং সর্বশেষ গত অর্থবছরে এসে তা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। ডলার সংকট ও ক্রমাগত ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনের কারণে অনেক রপ্তানিকারক দেশে ডলার আনছেন না বলেও বিভিন্ন সময় বক্তব্য উঠে আসছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও এর কারণ খুঁজতে একটি কমিটি গঠন করেছে, যা এখন কাজ করছে।