গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত অন্তত ৪০০ জন
গত ২৪ ঘণ্টার ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের গণমাধ্যমের মতে, গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধে এটিই 'সবচেয়ে বেশি বোমা হামলার' রেকর্ড।
ফিলিস্তিনের নিউজ এজেন্সি ওয়াফার মতে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের আবাসিক এলাকাগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টার অন্তত ২৫ টি ইসরায়েলি বিমান হামলার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। অথচ এই ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলেই প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের বসবাস।
ওয়াফা জানায়, বেশিরভাগ হামলার আগেই ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের কোনো রকম সতর্কতা প্রদান করা হয়নি। ফলে বেসামরিক নাগরিকের হতাহতের সংখ্যাও বিপুল পরিমাণে বাড়ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দুই সপ্তাহ ধরে চলমান এই সহিংসতায় প্রায় ৪,৬৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১,৮৭৩ জন শিশু, ১,১০১ জন নারী ও ১,৬৭৭ জন পুরুষ। আর সবমিলিয়ে আহত হয়েছে প্রায় ১৪,২৪৫ জন।
এদিকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু দেখা যায়, চলমান যুদ্ধে উপত্যকাটির দক্ষিণাঞ্চলেও বিমান হামলায় ৮৩৯ জন ফিলিস্তিনে নিহত হয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। বোমা-বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে যে ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যার অধিকাংশই নারী ও শিশুর। সেখানকার সিভিল ডিফেন্স ইউনিট আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উপত্যকার আটটি শরণার্থী শিবিরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আবাসিক ভবনটিতে রোববার (২২ অক্টোবর) গভীর রাতে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর অনেকে হতাহতের শিকার হন। হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন আহত হয়েছেন বলেও জানা যায়।
এর আগেও অবশ্য জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, গত ৯ অক্টোবর ইসরায়েল এই শিবিরের একটি বাজারে বিমান হামলা চালায়। সে হামলায় ঠিক কত মানুষ নিহত হয়েছেন, তা এখনও অজানা।