দুই দিনের অবরোধ: ৩০ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রামে পুড়েছে ১৮টি গাড়ি
রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর ৪টা থেকে সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারাদেশে ১৩টি বাসে দুর্বত্তরা আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
অবরোধের এ ৩০ ঘণ্টায় ২টি ট্রাক, একটি প্রাইভেট কার, একটি সিএনজি ও একটি লেগুনাতেও আগুন ধরানোর খবর পাওয়া গেছে।
এরমধ্যে ঢাকা শহরে ১০টি, ঢাকা বিভাগে (গাজীপুর, কালিয়াকৈর, নারায়ণগঞ্জ) ৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে (খাগড়াছড়ি, আনোয়ারা, পটিয়া) ৪টি ঘটনা ঘটে।
১৮টি অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণ করতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৩৬টি ইউনিট ও ২১৬ জন কর্মী।
রোববার ভোর ৪টার দিকে মাতুয়াইলের সাদ্দাম মার্কেট ও জুরাইন বালুর মাঠে ২টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মিরপুর ৬ ও ভোর সাড়ে ৬টার দিকে গাজীপুরে দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
বেলা প্রায় ১২ টার দিকে খাগড়াছড়ির জিরোমাইলে ১টি মিনি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাসেও আগুন দেওয়া হয়। মিরপুর বাংলা কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আগুন ধরানো হয় বাংলামোটর মোড়ের একটি বাসে।
এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিরপুরের পল্লবীতে শিকড় পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
রাত ১০টা বেজে ১৫ মিনিটের দিকে নীলক্ষেত মোড়ে একটি প্রাইভেট কারে আগুন ধরানো হয়। এর কিছুক্ষণ পর সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামে টাউন সার্ভিস পরিবহনের বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
রাত সাড়ে ১১টায় হাজারীবাগে সেন্ট্রাল লাইন ট্রান্সপোর্ট বাসে আগুন ধরানো হয়। এর এক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১২টায় জুরাইন, পোস্তগোলায় বাংলাদেশ বিমানের স্টাফ বাসে আগুন ধরানো হয়।
রাত দেড়টার দিকে মুগদা সিএনজি পাম্পের সামনে ১টি লেগুনায় আগুন ধরানো হয়।
রাত ২টার দিকে আগুন ধরানো হয় গাজীপুর কদমতলীর বিআইডিসি রোডের এক বাসে।
আজ ভোর ৫টায় চট্টগ্রামের আনোয়ারায় একটি বাসে আগুন ধরানো হয়।
ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গাজীপুরে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
ভোর পৌনে ছয়টার দিকে চট্টগ্রামের পটিয়ায় সিএনজিতে আগুন ধরানো হয়। ভোর প্রায় ৬টার দিকে আগুন ধরানো হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে খোকা কমিউনিটি সেন্টারের কাছাকাছি থাকা একটি ট্রাকে।