‘অবৈধ তফসিল’ প্রত্যাহার করতে হবে: জামায়াতে ইসলামী
আজ সন্ধ্যায় ঘোষিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, 'জনগণের দীর্ঘ আন্দোলন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবিকে উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সমগ্র জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।'
তিনি বলেন, 'জনগণ একতরফা নির্বাচন হতে দেবে না। জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল প্রত্যাহার করতে হবে। সব দলের মধ্যে ঐকমত্য ও সংলাপের মাধ্যমে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।'
'আমরা সতর্ক করে বলতে চাই, দেশের বিরোধীদলগুলোর মতামত অগ্রাহ্য করে তফসিল ঘোষণার ফল কারওর জন্যই সুখকর হবে না এবং দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং দেশকে অস্থিতিশীলতা ও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে। সংলাপের পথ রুদ্ধ করবে। একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের ফলে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে,' এ জামায়াত নেতা আরও বলেন।
'এই অবৈধ তফসিল প্রত্যাহার করা উচিত। শেখ হাসিনাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা ত্যাগ করতে হবে,' তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম বুধবার ঢাকায় এক মিছিলে বলেন।
তিনি আরও বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন থামবে না। আমরা এই অবৈধ তফসিল মানি না। আমরা দেশবাসীকে এই অবৈধ তফসিল প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে নামার আহ্বান জানাই। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।'
জামায়াতের আমীর শফিকুর রহমানসহ তাদের আটক নেতাদের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে জামায়াত বিএনপির আন্দোলনে যোগ দিয়েছে।
২৮ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির নয়াপল্টনে সমাবেশ করে। সমাবেশ মাঝপথে স্থগিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল পরদিন হরতাল ঘোষণা করেন।
পরদিন ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আমীর খসরু ও মোয়াজ্জেম হোসেনসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারপর বিএনপি হরতাল এবং অবরোধ ঘোষণা করে। একই দাবিতে আন্দোলন করা জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলোও এসব হরতাল-অবরোধে যোগ দেয়।
এমনকি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিনও বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল তাদের পঞ্চম ধাপের অবরোধ পালন করেছে।