গুরুতর চোট নয়, তবু নাঈমকে নিয়ে অনিশ্চয়তা
দেড় বছর পর ফিরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে দারুণ বোলিং করেন নাঈম হাসান। বেশি উইকেট না পেলেও প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নেন বাংলাদেশের ডানহাতি এই স্পিনার। যে পরীক্ষার চাপ সামলাতে গিয়ে তাইজুল ইসলামের স্পিনজালে ধরা পড়েন কিউই ব্যাটসম্যানরা। মিরপুর টেস্টেও তার জায়গা নিশ্চিত। তবে এ পথে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তার চোটের কারণে।
ম্যাচের আগেরদিন, মঙ্গলবার মিরপুরে অনুশীলনে আঙুলে চোট পেয়েছেন নাঈম। বিসিবির মেডিকেল বিভাগ জানিয়েছে, তার চোট গুরুতর নয়। এমনকি নাঈমের চোট পাওয়ার ব্যাপারটি তাদেরকে জানানোও হয়নি। এ কারণেই কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচের জন্য বিবেচনায় আছেন বাংলাদেশের ২৩ বছর বয়সী এই স্পিনার।
এরপরও নাঈমকে নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, কারণ বোলিং ফিঙ্গারে চোট পেয়েছেন তিনি। চোট ছোট হলেও বোলিংয়ে এর প্রভাব পড়তে পারে। টানা বোলিংয়ে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে, হতে পারে ব্যথাও। এ কারণে নাঈমের খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করা হবে বলে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে। আঘাত পাওয়া স্থানে জোরা লেগে গেলে তার খেলার সম্ভাবনা বেশি। তেমন না হলে নাঈমকে ছাড়াই মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সকালে মিরপুর স্টেডিয়ামের ইনডোরের বাইরের নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন সিলেট টেস্টে ৩ উইকেট নেওয়া নাঈম। পেসার মুকিদুল ইসলামের একটি ডেলিভারি খেলতে গিয়ে ডান হাতের তর্জনীতে আঘাত পান তিনি। আঘাতে তার হাত থেকে রক্ত ঝরছিল। ব্যাটিং থামিয়ে সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা নেন নাঈম। এরপর আর অনুশীলন করেননি তিনি।
রক্ত ঝরলেও সেলাই লাগেনি নাঈমের আঙুলে। এ কারণেই এখনও মিরপুর টেস্টে একাদশে তাকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। রাতের মধ্যে ক্ষত স্থানে জোরা লাগলে এবং ব্যথা কমে গেলে খেলতে পারবেন তিনি। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেছেন, 'নাঈমের চোট নিয়ে দল থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। সেলাই লাগলে বা অন্য চিকিৎসার দরকার হলে জানানো হতো। তাই আশা করছি সব ঠিক আছে।'