স্বৈরাচার এরশাদের মতো এ মাসেই স্বৈরাচারী সরকারের পতন হবে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'স্বৈরাচার এরশাদের মতো এ মাসেই স্বৈরাচারী সরকারের পতন হবে'।
তিনি বলেন, "১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ যেমন জনরোষ থেকে বাঁচতে পারেননি, পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন; তেমনি এ সরকারও জনরোষ থেকে বাঁচতে পারবে না। বিজয়ের মাসেই (ডিসেম্বর) তাদের পতন হবে। তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে হবে তাদের।"
"জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ আবারও সন্ত্রাসী কায়দায় জনগণের ভোটাধিকার হরণের সব পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে," বলেন তিনি।
"তবে জনগণের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপিসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক দল চূড়ান্ত আন্দোলনে শামিল হয়ে সব অপচেষ্টা বানচাল করে দেবে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। গণতন্ত্রকামী বিরোধী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর জেল-জুলুম চালিয়ে এবার শেষ রক্ষা হবে না," বলেন তিনি।
অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিএনপির ডাকা ১০ম দফা অবরোধের প্রথম দিনে রাজশাহী জেলা যুবদল ও জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে অবরোধের সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিং শেষে তিনি এসব কখা বলেন।
আজ সকাল ৭টায় রাজশাহী মহানগরীর তেরোখাদিয়া স্টেডিয়ামের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু করে সিটি হাট রোডের ডাবতলার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ রফিকুল ইসলাম,রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, শাহনেওয়াজ খুরশিদ রিজভী, রনি প্রাং, বাগমারা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল মালেক মানিক, বাগমারা উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শহিদুজ্জামান মুকুল,ভবানীগঞ্জ পৌরসভা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম,যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল হোসেন, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদ হোসেন, মুনজুর রহমান রেন্টু, ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য মিনারুল ইসলাম।
২৮ অক্টোবর রাজধানী অবরোধ ডাকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী; যা পরে সহিংসতায় রূপ নেয়।
সেদিন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্মসূচি স্থগিত করে পরের দিন হরতাল ঘোষণা করেন।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এর পরদিনই ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর থেকে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো টানা অবরোধ-হরতালের ডাক দিয়ে আসছে।