সরকার সুকৌশলে পোশাক শিল্প ধ্বংসের নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে: রিজভী
সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে পোশাক শিল্প ধ্বংসের নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, 'শ্রম অধিকার সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন শ্রমনীতি ঘোষণার পর বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রায় অবধারিত বলে আশঙ্কা করছেন মালিকরা।'
আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতার দাবি, 'জনগণ বিশ্বাস করে রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা এখন অন্য দেশের হাতে তুলে দিয়ে অবৈধ ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি চান শেখ হাসিনা।' শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি দমনে সরকার হত্যা ও নিষ্পেষণের উপায় অবলম্বন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা বলেন, গতকাল পোশাক খাতে আতঙ্কের বিষয়টি মালিকদের সংগঠন- বিজেএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেছেন, "নিষেধাজ্ঞা এলে বিদেশিরা পণ্য নেবে না। ইতোমধ্যে পণ্যের আদেশদাতারা এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছেন ঋণপত্র খোলার সময়। এমনকি পণ্য জাহাজীকরণের পর নিষেধাজ্ঞা এলেও পণ্য নেবে না তারা।" ইতোমধ্যে এ খাত '৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ' ব্যবসা হারিয়েছে। পোশাক শিল্পের মালিকদের ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে উদ্ভট পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বালখিল্য প্রদর্শন করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বললেই পোশাক রপ্তানি বন্ধ হবে না। নিষেধাজ্ঞা দিলে কিছুই হবে না।
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, 'একতরফা নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। এই নির্বাচন দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে। এই পাতানো নির্বাচন কেবল বয়কট নয় গণ-প্রতিরোধের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে একটা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা নিশ্চিত করতে হবে।'
নির্বাচনের নামে পুরোদমে তামাশা চলছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা শুনে ক্ষিপ্ত প্রধানমন্ত্রী, খড়গ হাতে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে 'আদার বনে শিয়াল রাজার মতো' ছুঠে বেড়াচ্ছেন। তিনিই সব, তাঁকেই ক্ষমতায় থাকতে হবে।
রিজভী বলেন, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড, জার্মানির 'কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের' অতাচারের কাহিনীকেও হার মানাবে। দল পরিবর্তনের জন্য কারাগারে রাখা গণতন্ত্রকামী রাজনীতিবিদদের সম্মতি আদায়ের জন্য জুলুম করা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। রিমান্ডে নির্যাতন করে তরুণ নেতা-কর্মীদের মিথ্যা সাক্ষ্য আদায়ের চেষ্টা চলছে।'