করোনা নেগেটিভের খবরে খুশি হয়ে গিয়েছিলেন নাজমুল
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার মিছিলে যোগ হয়েছে বাংলাদেশের তিনজন ক্রিকেটারের নাম। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবালের পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ওয়ানডের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।
কেবল নাজমুল অপুই নন, তার অসুস্থ মা-বাবাও প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত । শনিবার করোনা টেস্টের রিপোর্ট হাতে পান নাজমুল।
এর একদিন পরই অবশ্য খুশি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। রোববার সকালে হাসপাতাল থেকে ফোন করে তাকে জানানো হয়, বেশ কয়েকটি রিপোর্টে ভুল হয়েছে। নাজমুল এবং তার মায়ের রেজাল্টের ক্ষেত্রেও এমন হতে পারে। নেগেটিভও আসতে পারে। এ কারণে যাচাই-বাছাই করে তাকে আবার জানানো হবে।
এমন খবরে খানিকটা খুশিই হন করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই মাঠে থেকে কাজ করে আসা নাজমুল। নেগেটিভ আসবে তো! এটা ভেবে আবার একটু উৎকণ্ঠাও ছিল। দুপুরের দিকে সেই উৎকণ্ঠাই সত্যি হয়। আবার ফোন করে জানানো হয়, আগের রিপোর্টই ঠিক আছে। নাজমুল অপু এবং তার মা করোনা পজিটিভ।
নিজের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নাজমুল বলেন, 'আমার শরীরের অবস্থা একটু ভালো এখন। গলা ব্যথা করে, কাশি আছে একটু। হাসাপাতাল থেকে আজ সকালে ফোন করে আমাকে জানিয়েছিল কয়েকজনের রিপোর্টে ভুল এসেছে। নতুন করে দেখছে। কিন্তু দুপুরের দিকে আবার ফোন করে বলে আমার এবং আম্মার পজিটিভই আছে।'
সকালে কল পেয়ে খুশি হয়ে যান নাজমুল। পরের কলের অপেক্ষা করছিলেন তিনি। নাজমুল বলেন, 'সকাল বেলা ওই কথা শুনে একটু খুশিই হয়েছিলাম। কিন্তু দুপুরের দিকে হেড অফিস থেকে ফোন করে জানায়, আমরাটা পজিটিভই। নারায়নগঞ্জে একটা সরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে টেস্ট করিয়েছিলাম। ওরা এসে নমুনা নিয়ে গিয়েছিল।'
করোনাভাইরাসের সঙ্কটময় এই সময়ে যে কজন ক্রিকেটার মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়জিত রেখেছেন, তার মধ্যে নাজমুল অপু অন্যতম। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই দুস্থ-অসহায়দের সাহায্য করে আসছেন তিনি।
সহযোগিতার এই কার্যক্রমে নারায়নগঞ্জে সরাসরি মাঠে থেকে কাজ করেছেন বাংলাদেশের হয়ে একটি টেস্ট, ৫টি ওয়ানডে ও ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলা নাজমুল। মানুষের পাশে দাঁড়াতে পরিবার থেকে দূরে ছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার কথা ভেবে বাড়িতে থাকেননি তিনি। তবু করোনাভাইরাসের ছোবল থেকে পরিবারকে বাঁচাতে পারেননি তিনি।