‘ছোট মমতাজ’ নাজমীন নাজু, নির্বাচনী গানের জনপ্রিয় শিল্পী
ঘটনাটায় মমতাজ একটু বেকায়দায় পড়ে গেছেন। প্রতিপক্ষ রটিয়ে বেড়াচ্ছে, টাকার জন্য মমতাজ বিরোধী পার্টির গানও গাইছেন। গানের মমতাজ সারা দেশে মশহুর, রাজনীতিতেও সক্রিয়। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তিনি। তার দলেরই আরও ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী একই আসনে ইগল বা ট্রাক নিয়ে লড়ছেন।
নির্বাচনের মার্কা বরাদ্দ হওয়ার পর থেকে হাটে-মাঠে-ঘাটে মাইক বাজতে শোনা যায় দিনে আর রাতেও। মাইকে প্রার্থীর গুণগান করে বিভিন্ন কিছু প্রচার করা হয়। গানও বাজানো হয় অনেক। মমতাজের গান মরার কোকিলে, নান্টু ঘটক, খাইরুন লো ইত্যাদি এতই জনপ্রিয় যে সব প্রতীকের প্রচারণাতেই কমবেশি ব্যবহৃত হয়। সাধারণত গানগুলোর মিউজিক ট্র্যাকের ওপর নতুন কথা বসিয়ে নির্বাচনী গান তৈরি হয়।
ঢাকার বিজয়নগর, মগবাজার, নিকেতন, মিরপুর, সাভারে এসব কাজের বেশ কিছু স্টুডিও আছে। এগুলোয় শাড়ি, লুঙ্গি, মেহেদী, এজেন্ট ব্যাংকিং, শোরুম উদ্বোধন বা অফারের বিজ্ঞাপনও তৈরি হয়। এজন্য বিশেষায়িত কিছু গীতিকার, সংগীতকার, ভয়েস আর্টিস্ট এবং শিল্পীও আছেন। নাজমীন নাজু তেমন একজন শিল্পী। গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বাড়ি।
'দুষি না দুষি না রে বন্ধু আমি তোমারে' গান গেয়ে নাজু পুরো জেলায় নাম করেছিলেন স্কুলে থাকতেই। তারপর ২০০৫ সালে এসএসসি দিয়ে সাভারে চলে আসেন ফুপাতো বোনের বাড়িতে। বোনের উকিল শ্বশুর রেডিও-টিভিতে গান করতেন, তিনিই ছিলেন আশার আলো। পাশাপাশি সাভার, নবীনগর, ধামরাই, হেমায়েতপুরেও স্টেজ শো করতে থাকেন নাজু।
এক পর্যায়ে নাজু সাভারের মাশরুম সেন্টারের প্রকল্প পরিচালকের নজরে পড়েন। তিনি স্থির করেন, নাজুকে দিয়ে মাশরুমবিষয়ক প্রচারণা চালাবেন। নাজুর চাকরি হয়ে গেল প্রকল্পের অধীনে। দলবল নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাশরুমের গুণাগুণ বর্ণনা করে রোড শো করতেন। 'মাশরুম-কন্যা' নামে পরিচিতি পেয়ে যান। তখন সাভারের স্টুডিওগুলো থেকে ডাক আসতে থাকে বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দেওয়ার জন্য। চাকরিতে লাঞ্চ আওয়ার ছিল ১ ঘণ্টার। এতেই কাজ চলে যেত, পেয়ে যেতেন ৫০০ টাকা সঙ্গে বিরিয়ানির প্যাকেট।
প্রকল্প নবায়ন না হওয়ায় ২০১২ সালের দিকে ঢাকায় চলে আসেন নাজু। পল্টনের স্টুডিওগুলোয় নিজের গাওয়া গানের নমুনা (স্যাম্পল) শোনাতে থাকেন। দু-চার জায়গা থেকে ডাকও পেলেন।
নাজুর সুবিধা ছিল তিনি একাধারে ভয়েস আর্টিস্ট, সংগীতশিল্পী এবং জিঙ্গেল আর্টিস্ট। স্বল্পকালের মধ্যে নাজুর আরেকটি গুণও প্রকাশ পেয়ে গেল। তিনি হুবহু নকল করতে জানেন সাবিনা ইয়াসমিন, বেবি নাজনীন বা ডলি সায়ন্তনীর কণ্ঠ। বিশেষ করে মমতাজের তিনি ডামি; এতটাই কাছাকাছি যে মমতাজও ধন্ধে পড়ে যাবেন।
২০১৮ সালে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ পদপ্রার্থী শেখ তন্ময়ের জন্য মরার কোকিলে গানটি গাইলেন নাজু, ভিউ পেলেন চার লাখ। ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের জন্যও একই গান করে ভাইরাল হয়ে গেলেন। তারপর উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, ইউপি নির্বাচনেও ওই গানই করেছেন বিভিন্ন প্রার্থীর জন্য।
মুখে মুখে নাজুর নাম হয়ে গেল ছোট মমতাজ বা জুনিয়র মমতাজ। প্রার্থীর লোকেরা এসে এই গানটিই চায়। ক্লায়েন্ট রিকোয়েস্ট, ফেলার তো উপায় নেই। গানগুলো সাধারণত প্রার্থীকে তার নেতাকর্মীরা গিফট করে থাকেন। সবমিলিয়ে ১৫ হাজার বারের বেশি গানটি গেয়েছেন নাজু। মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্যও গেয়েছেন বলে মনে করতে পারলেন। আর তাতেই বেধেছে গোল।
নাজু বললেন, 'স্টুডিওর হয়ে আমরা কাজ করি। কে গান লেখে, কে প্রার্থী, সেগুলো জানার সময় আর সুযোগ হয় না। নির্বাচনের মৌসুমে এক স্টুডিও থেকে আরেক স্টুডিওতে দৌড়ে বেড়াই। মার্কা ঘোষণার পরের ১০ দিন আমাদের নিশ্বাস ফেলার সময় থাকে না। টানা দুই-তিন দিনও কাজ করতে হয়। এবারই যেমন হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। আমরা শিল্পী, গান গাওয়াই আমাদের কাজ, এর বেশি কিছু জানতে পাই না।'
রিদম স্টুডিওতে নাজুকে পাওয়া গেল না। রিদমের শাহাদাত হোসেন রীপন অবশ্য ফোন নম্বর দিতে কার্পণ্য করেননি। রীপনের চাচা আবু জাফর ছিলেন রেডিওর ভয়েস আর্টিস্ট। ১৯৮৩ সালে তিনি পুরানা পল্টনে রিদম স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেন। রেডিওর জন্য বিজ্ঞাপন স্পট ও স্পন্সরড প্রোগ্রাম তৈরি হতো বেশি। তখন স্টুডিও ছিল হাতেগোনা, আর রিদম গুণে-মানেও ছিল ভালো। 'হাঁ ভাই'খ্যাত মাজহারুল ইসলামের শুরুটা হয়েছিল এখানে। মমতাজেরও বেশ কিছু গান রেকর্ড করা হয়েছে রিদমে।
প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালক রীপন বললেন, 'আমরা তিব্বত স্নো, ঘামাচি পাউডার, নাবিস্কো বিস্কুট, কসকো সাবানের বিজ্ঞাপন, বার্জারের স্পন্সরড প্রোগ্রাম করেছি। হামদর্দের প্রায় সব বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল এবং অডিও ভয়েস এখানে রেকর্ড করা হয়েছে। কবিতা আবৃত্তি, নতুন বইয়ের বা দোকান উদ্বোধনের ঘোষণা, ইসলামিক গান, সিনেমার ট্রেলার, জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান ইত্যাদি অনেককিছু করেছি। শুরুর দিকে স্পুলে অডিও ধারণ করে ক্যাসেটে আউটপুট দেওয়া হতো।'
১৯৯৬-৯৭ সালে শুরু হয় ডিজিটাল আমল। অ্যানালগ মেশিনগুলো গোডাউনে তুলে রেখে কম্পিউটার, ডিজিটাল সাউন্ড কার্ড, মাইক্রোফোন, হেডফোন, মনিটর স্পিকার দিয়ে স্টুডিও সাজাতে হলো। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আবু জাফর গান, স্লোগান, বিজ্ঞাপন তৈরির উদ্যোগ নিলেন। এ উপলক্ষে সারা দেশের সম্ভাব্য সব প্রার্থী বরাবর ৪ পৃ্ষ্ঠার নির্বাচনী প্রচারণাপত্রশীর্ষক এক চুক্তিপত্র ডাক মারফত পাঠালেন। তাতে গানের সংখ্যা, ধারা বর্ণনা, স্লোগান, মাস্টার সিডি সংখ্যা মিলিয়ে ১০, ১৫, ২০ হাজার টাকার কয়েকটি প্যাকেজ বানালেন। সেইসঙ্গে স্ক্রিপ্ট তৈরির সুবিধার্থে জানতে চাইলেন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, বংশপরিচয়, পদক, ডিগ্রি, দলীয় অবস্থান, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ইত্যাদি।
প্রথমবার বলেই হয়তো ২৫-৩০টির বেশি কাজ পাননি। তবে এরপরের ইউপি নির্বাচনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল অডিও প্রচারণা। সেবার রীপন নিজে উদ্যোগী ১৫-২০ জনের একটি মার্কেটিং টিম তৈরি করেন। বিভিন্ন জেলায় এজেন্টদের সেট করে দিয়েছিলেন। তারা কাজ এনে দিয়েছে ঝটপট, সংখ্যায়ও অনেক বেশি। তখন আউটপুট দিয়েছেন মেমরি কার্ডে। এ ধারাবাহিকতা চলেছে পরের সব নির্বাচনে। তবে এজেন্টরা তাকে দুঃখও দিয়েছে, অগ্রিম টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে বা কম টাকায় অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ করিয়ে নিয়েছে। এতে রিদমের ক্ষতি হয়েছে অনেক, ক্ষতিপূরণও গুনতে হয়েছে। সাধারণত অডিও পাবলিসিটিতে প্রার্থীর সম্পৃক্ততা খুব বেশি থাকে না, কর্মী বা এজেন্টরা প্রার্থীকে এগুলো গিফট করে থাকেন, তারাই গান বা স্ক্রিপ্ট নির্বাচন করেন, কখনো কখনো নিজেরাও লিখে পাঠান, শিল্পীর কথাও উল্লেখ করে দেয়।
অডিও রেকর্ডিংয়ের আয়োজন কিন্তু একেবারে ছোট নয়। মিউজিক ডিরেক্টর, ভয়েস আর্টিস্ট, স্ক্রিপ্ট রাইটার, সংগীতশিল্পী, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার মিলিয়ে বেশ বড় একটা দল কাজ করে। অথচ বাজেট থাকে কম, গানপ্রতি তিন-চার হাজার টাকা। একসঙ্গে একই প্রার্থীর একাধিক গান রেকর্ড করিয়ে নিলে অবশ্য লাভের মুখ দেখা যায়।
রীপন বলছিলেন, 'নির্বাচন আমাদের কাছে উৎসবের মতো। মার্কা ঘোষণার পরের ১০ দিন স্টুডিওগুলোয় পা দিতে পারবেন না, শিল্পীদের দম ফেলার ফুরসত থাকে না, পুরানা পল্টনে এখন বেশ কয়েকটি স্টুডিও আছে, শিল্পীরা দৌড়ে চলে একখান থেকে আরেকখানে। বলা চলে ২-৩ মাসের টাকা আমরা এ সময় তুলে নিই। অন্য সময় তো এত কাজ থাকে না, তখন আমি বেশি করি আবৃত্তির কাজ। আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তফা, মাহিদুল ইসলাম, শারমীন লাকী প্রমুখের সঙ্গে কাজ করি।'
রীপনের কাছে জানলাম, ২০১৫ সালের পর থেকে রেকর্ডিং স্টুডিওর দুর্দিন চলছে; কারণ অনেক হোম স্টুডিও গড়ে উঠেছে। এখন অবশ্য মার্কেটিং টিম পুষতে হয় না। ফেসবুক, ইউটিউব বা ওয়েবসাইট মারফত ক্লায়েন্ট পান। রীপন ইউটিউবের সিলভার বাটন পেয়েছেন। এখন এমপিথ্রিতে আউটপুট দিয়ে ইমেইল বা হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দেন। তার দলে ২ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ গানের শিল্পী আছেন, ভয়েস আর্টিস্ট আছেন ৪ জন পুরুষ ও ২ জন মেয়ে। কিছু ক্লায়েন্ট আসে অন্যজনের কাছ থেকে শুনে। তাই তার ভালোই চলে যায়। নির্বাচনের পরপরই দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজার বেড়িয়ে আসবেন।
রীপনের স্টুডিওতে পরিচয় হলো ভয়েস আর্টিস্ট আরিফুল ইসলাম কাজলের সঙ্গে। তিনি এবারে শতাধিক নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দিয়েছেন। তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ সেলিম, শামীম ওসমান, মির্জা আজমের মতো নেতাদের নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে। সেগুলোর একটি তাৎক্ষণিক শুনিয়ে দিলেন,
সম্মানিত ভোটার ভাইবোন, বন্ধুগণ, সবাইকে জানাচ্ছি নির্বাচনী শুভেচ্ছা স্বাগতম। আসছে ৭ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে সারা দেশব্যাপী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আর এ নির্বাচনে ভোরের সূর্যের মতো চিরচেনা ব্যক্তিত্ব, আপনার-আমার সকলের সুপরিচিত শেখ সেলিম ভাই…
সাধারণত রেকর্ডিং সেন্টারের মালিক বা পরিচালকেরা স্ক্রিপ্ট দিয়ে থাকেন। আর সেটি গলা পরিষ্কার করে বিভিন্ন মাত্রায় পড়ে যান ভয়েস আর্টিস্ট। কাজল বড় হয়েছেন ফরিদপুরে, পদ্মায় ভেসে ভেসে তিনি রেডিওতে মাজহারুল ইসলামের কণ্ঠে সিনেমার ট্রেলার বা স্পন্সরড প্রোগ্রামের ঘোষণা শুনতেন। নিজে নিজে প্র্যাকটিসও করতেন। নতুন কারোর সঙ্গে পরিচয় হলে নিজেকে ভয়েস আর্টিস্ট বলে পরিচয় দিতেন, দু-চার লাইন শুনিয়েও দিতেন। অনেকে অবাক হয়ে বলেছে, আরে এ তো অবিকল মাজহারুল ইসলাম! ২০০৪ সালে ঢাকায় এসে বিভিন্ন স্টুডিওতে ঘোরাঘুরি করতে করতে নজরে পড়েন চিত্রপরিচালক আকাশ দেওয়ানের। তবে তিনি প্রথম যে সিনেমার ট্রেলার করেন সেটি ছিল দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত নাচ রুপসী।
নির্বাচনী স্লোগানেও কণ্ঠ দেন কাজল। একশটি স্লোগান তার মুখস্থ আছে। যেখানে যেটা উপযোগী সেখানে সেটা প্রকাশ করেন। একটি স্লোগান যেমন শোনালেন,
ভোট দেবেন না যারে-তারে
তাহলে উন্নয়নের জন্য ঘুরতে হবে দ্বারে দ্বারে
বিপদ-আপদে ডাকলে যাকে পাই, তিনি হচ্ছেন সবার প্রিয় জনপ্রিয় শামীম ওসমান ভাই।
রাস্তা-ঘাটে নিজের কণ্ঠ শুনলে আজও শিহরিত হন কাজল। বন্ধুরা বাহবা দিলে বেশ একটা আহ্লাদ হয়। মাজহারুল ইসলাম একবার তার পিঠ চাপড়ে দিয়েছিলেন, জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি ভাবেন সেটাকে।
কাজলও বললেন, 'নির্বাচন মৌসুমে স্টুডিওগুলোতে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। সবসময় তো কাজ থাকে না, এই মৌসুমে যা ইনকাম হয় তা বেকার সময়গুলোতে কাজে লাগে বা কিছু একটা সাধ মেটানো যায়।'
কণ্ঠশিল্পী ও ভয়েস আর্টিস্টদের নির্বাচনী ব্যস্ততা ফুরিয়েছে। নাজমিন নাজু ভাবছেন গ্রামের বাড়ি যাবেন। কাপাসিয়ার পারিয়াবতে মা আর বোনেরা আছে। নাজুরা দুই ভাই, চার বোন। একজন বাদে বোনেদের সবার বিয়ে হয়ে গেছে, ভাইদের দুজনেই বিদেশে থাকে। বাড়ি গেলে ভাতিজি-ভাগ্নিদের সঙ্গে তার সময় কাটে ভালো। ওদের সঙ্গে ছুটাছুটি করেই কেটে যায় দিনের বড় একটা সময়। বাড়ির ধারে শাপলা বিল আছে, একটু দূরে শীতলক্ষ্যা নদী, বেড়াতে যান বিল বা নদীর ধারে।
শীতের গ্রাম কুয়াশার চাদর গায়ে দিয়ে দেখতে ভালো লাগে নাজুর। খেতে পছন্দ করেন গরুর মাংস ও খিচুড়ি। এখন পপ গান বেশি করলেও নাজু আসলে কাজী নজরুল ইসলামের গান করতে চান। নজরুলের অনেক গানই তার পছন্দ, তবে বেশি পছন্দ 'আমায় নহে গো ভালোবাসো মোর গান'। তার প্রিয় শিল্পী লতা মুঙ্গেশকর, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন। মমতাজের গান করে খ্যাতি পেয়েছেন নাজু, তাই মমতাজকে মানেন মাথার তাজ।