একমাত্র দুঃসাহসীরাই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে! লাদাখে মোদি
গত ১৫ জুন চীনের সাথে হাতাহাতি লড়াইয়ে নিজেদের ২০ সেনা নিহতের পর থেকেই লাদাখ ও কাশ্মীরে সামরিক শক্তিবৃদ্ধি করে চলেছে ভারত। মোতায়েন করা হচ্ছে বিপুল যুদ্ধাস্ত্র ও সেনা সদস্যকে। আজ শুক্রবার (৩ জুন) সামরিক প্রস্তুতি সরজমিন পর্যবেক্ষণে ঝটিকা এক সফরে গিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এসময় সেখানে মোতায়েন সেনা সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধিতেও এক ভাষণ দেন।
মোদি বলেন, 'ভীরুরা কখনও শান্তি অর্জন করতে পারে না। একমাত্র দুঃসাহসীরাই তা পারে।'
ভারতীয় সেনাদের দেশের সেরা সাহসী সন্তান' উল্লেখ করেন তিনি আরও বলেন, শত্রু ইতোমধ্যেই তোমাদের শৌর্য-বীর্য দেখে ভয়ে কাঁপছে।
২০ ভারতীয় সেনা নিহতের পর এই প্রথম লাদাখে গিয়ে মোদি যে ভাষণ দিয়েছেন, তা প্রত্যক্ষভাবে চীনের প্রতি হুমকি। খবর এনডিটিভি ও দ্য ডিপলোম্যাটের।
শুক্রবার সকালের দিকেই লাদাখের নিমু এলাকায় সামরিক হেলিকপ্টারে করে উড়ে আসেন মোদি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নিমুর উচ্চতা ১১ হাজার ফিট। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন চীফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনা প্রধান এমএম নারভানে। সিন্ধু নদীর তীরে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে।
এসময় চীনের নাম উচ্চারণ না করেই মোদি বলেন, আগ্রাসন ও দখলদারির যুগ শেষ। এখন উন্নয়নের যুগ। ইতিহাস স্বাক্ষী দখলদারি শক্তি হয় পরাজিত হয়েছে, নাহয় পালিয়ে গেছে।
এদিকে নরেন্দ্র মোদি এমন সময় লাদাখের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে গেলেন, যার কিছুদিন আগেই ফিলিপাইন সাগরে নিজেদের নৌবাহিনীর উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মোতায়েন করেছে দুই দুটি বিমানবাহী রণতরী; ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান এবং ইউএসএস নিমিৎজকে। সঙ্গে আছে আরও সহযোগী যুদ্ধজাহাজের বহর। দক্ষিণ চীন সাগরের কাছে এই বিপুল নৌ উপস্থিতিকে ওয়াশিংটনের তরফে চীনের প্রতি কড়া সতর্কবার্তা হিসাবে দেখছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরা।
ভারতও সম্প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অপর মার্কিন মিত্র জাপানের সঙ্গে নৌমহড়ায় অংশ নেয়। এবং চীনকে ঠেকাতে দেশটির সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের টহল বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়।
ভারতে বৃহৎ সমরাস্ত্র রপ্তানিকারক ফ্রান্সও সম্প্রতি চীনের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি দেয়। ভারতের জরুরি অনুরোধের প্রেক্ষিতে ফ্রান্স দেশটির বিমান বাহিনীর জন্য দ্রুত ৬টি অত্যাধুনিক রাফায়েল ফাইটার জেট ডেলিভারি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। চলতি জুলাইয়ের ২৭ তারিখেই ভারতের আম্বালা বিমানঘাঁটিতে এসব যুদ্ধবিমান এসে পৌঁছাবে।
পশ্চিমা বিশ্বের এমন সমর্থন লাভের পরই শুক্রবার লাদাখে গিয়ে হাজির হন মোদি।