আশা করছি শিগগিরই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত বিচার দেখব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পিলখানায় একটি বড় হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। তদন্ত সম্পন্ন করা একটা বিরাট কর্মকাণ্ড ছিল। এগুলো শেষ হয়েছে। আপনারা দেখেছেন প্রাথমিক একটা বিচার হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই চূড়ান্ত বিচারটাও আমরা দেখব।
আজ রবিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে পিলখানার ঘটনায় শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ আমাদের বিচারিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে। আশা করছি খুব শিগগিরই চূড়ান্ত বিচারটাও আমরা দেখব।'
পিলখানায় শহীদদের বয়স্ক স্বজনরা আদৌ বিচার দেখে যেতে পারবে কি না তা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমিও সেটাই বলি, যাই হোক দ্রুত হোক। তবে কবে শেষ হবে সেটা বিচারকরাই জানেন। আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আপনারা জানেন আমাদের আদালত স্বাধীন। আদালত একটি ন্যায্য বিচার করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।'
তিনি বলেন, 'এখানে কারো গাফিলতি নেই। আমি আগেই বলেছি এখানে বিরাট ধরনের হত্যাকাণ্ড ছিল। সবগুলো সঠিকভাবে তদন্ত শেষে বড় ধরনের বিচারকার্য ছিল। এই সবগুলোই সময় লেগেছে।'
সেদিন যা ঘটেছিল
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে বিডিআরের বার্ষিক দরবার চলাকালে হলে ঢুকে পড়েন একদল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদের একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার।
তাদের গুলিতে একে একে লুটিয়ে পড়তে থাকেন সেনা কর্মকর্তারা। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।
বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (পিলখানা হত্যা মামলা) ১৩৯ জনের ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ঘটনার ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি কোনো মামলার।
দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলার বিচার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য অপেক্ষমান। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অপর মামলাটি এখনো বিচারিক (নিম্ন) আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের গণ্ডি পার হয়নি। হত্যা মামলার আপিল শুনানি কবে শুরু হবে, তাও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।