'গুড সেক্স' বাইডেনের দীর্ঘ বিবাহিত জীবনের মূলে: জানানো হলো ফার্স্ট লেডিকে নিয়ে লেখা নতুন বইয়ে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রসিকতার সঙ্গে তার সহযোগীদের বলেছেন, একটি দীর্ঘ ও সুখী দাম্পত্য জীবনের রহস্য হলো 'গুড সেক্স'। মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে নিয়ে লেখা নতুন একটি বইয়ে বাইডেনের এ কথা উঠে এসেছে। বইটিতে বাইডেন ও জিলের দীর্ঘ ৪৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
'আমেরিকান ওম্যান- দ্য ট্রান্সফরমেশন অব দ্য মডার্ন ফার্স্ট লেডি, ফ্রম হিলারি ক্লিনটন টু জিল বাইডেন' নামের এ বইটি লিখেছেন মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের হোয়াইট হাউসের প্রতিনিধি কেটি রজার্স। এ সপ্তাহেই বইটি প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে।
বইটির ২৭৬ তম পৃষ্ঠায় যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মাত্র কয়েকটি অনুচ্ছেদ তুলে ধরা হলেও বাইডেনের ওই কথাটিই এখন বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম।
বইটিতে রজার্স লিখেছেন, বাইডেন ২০০৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন। এ নিয়ে সহযোগী ও সমর্থকদের সঙ্গে তার আলাপ চলছিল। ওই মুহূর্তে জিল বাইডেন হল্টার টপ (এক ধরনের পোশাক) পড়ে সেখানে উপস্থিত হন। তার পেটে সে সময় লেখা ছিল ইংরেজি 'নো' শব্দটি। এতে সহযোগীদের কাছে বাইডেনের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার হয়ে যায়।
৮১ বছর বয়সী এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওই বছর তার একদল সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তার খুব অল্পই আগ্রহ ছিল।
তিনি বলেছিলেন, 'এর চেয়ে আমি আমার সন্তানরা যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন স্ত্রীর সঙ্গে ভালবাসার মুহূর্ত কাটানোর জন্য ঘরে থাকতে চাই।'
রজার্স লিখেছেন, তৎকালীন সিনেটর বাইডেনের এমন মন্তব্যে এক মুখপাত্র বলেই ফেলেছিলেন, বাইডেন 'স্পষ্টতই তার স্ত্রীর প্রেমে পড়েছেন।'
রজার্সের মতে, যদিও জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদে জয়ের পরে তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে প্রকাশ্যে মন্তব্য কমিয়ে দিয়েছেন, তবে সহযোগীদের সঙ্গে রসিকতা করে তিনি বলেছেন, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুখী বৈবাহিক জীবনের জন্য 'গুড সেক্স' খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বইটিতে ১৯৭২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রথম স্ত্রী নিলিয়া ও মেয়ে নওমিকে হারিয়ে বাইডেন যে আঘাত পেয়েছিলেন, সেটিও উঠে এসেছে।
১৯৭৭ সালে জিলকে বিয়ে করেন বাইডেন। জিলকে বিয়েতে রাজি করাতে বাইডেনকে পাঁচবার প্রস্তাব দিতে হয়েছিল।
শেষবার প্রস্তাব দেওয়ার সময় বাইডেন কি বলেছিলেন সেটিও রজার্স তার বইতে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, পঞ্চমবারের বেলায় বাইডেন জিলকে বলেছিলেন, 'আমি যতটা ধৈর্য ধরতে পেরেছি, ধরেছি। কিন্তু এটি আমার রাগ বাড়িয়ে তুলেছে। হয় তুমি আমাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নাও, না হয় আমি চলে যাচ্ছি। আমি এর পর আর জিজ্ঞাসা করতে আসব না।'
অনুবাদ: রেদওয়ানুল হক