রাজশাহীতে মায়ের কবরের পাশেই সমাধিস্থ করা হবে অ্যান্ড্রু কিশোরকে
রাজশাহীর শ্রীরামপুরে কেন্দ্রীয় কারাগারের পিছনে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশেই সমাধিস্থ করা হবে দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী অ্যান্ড্রু কিশোরকে।
অ্যান্ড্রু কিশোরের অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী একমাত্র ছেলে ও মেয়ে রাজশাহীতে ফিরলে পারলৌকিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তাকে সমাধিস্ত করা হবে।
সোমবার রাতে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ্রিংকালে এমনটাই জানিয়েছেন অ্যান্ড্রু কিশোরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ড. দীপকেন্দ্রনাথ দাশ।
তিনি জানান, অ্যান্ড্রু কিশোরের ইচ্ছানুযায়ীই রাজশাহীর শ্রীরামপুরে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কবরস্থানে তার মায়ের কবরের পাশেই তাকে কবরস্থ করা হবে। ওই কবরস্থানে তার ভাই ও বোনকেও সমাধিস্থ করা হয়েছে। তার মেয়ে ও ছেলে অস্ট্রেলিয়া থেকে এসে পৌঁছালে সেখানে আনুষ্ঠানিকতা মেনে কবরস্থ করা হবে। তার সন্তানদের অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরতে দুই থেকে তিনদিন লেগে যাবে। ততদিন অ্যান্ড্রু কিশোরের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোনের বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশবাহী গাড়িতে করে তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।
আটবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত রাজশাহীর এই কৃতি সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনেই তার বোনের বাসায় ভিড় জমাতে শুরু করেন অগণিত ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীরা। শোক ও শ্রদ্ধা জানান তারা। এন্ড্রু কিশোরের এমন মৃত্যুকে মেনে নিতে পারেননি তারা।
স্বজনদের দাবি, অনেকটা অবহেলা নিয়েই মারা গেছেন তিনি। পাননি প্রাপ্য সম্মানটুকু।
রাজশাহী নির্বাহী সঙ্গীত বিদ্যালয়ের একজন সংস্কৃতিকর্মী বলেন, "অ্যান্ড্রু কিশোর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া সত্ত্বেও কোনো খেতাব পাননি। আমি নিজে তাকে কণ্ঠরাজ উপাধি দিয়েছিলাম। তিনি রাজশাহীতে আমাদের বিদ্যালয়ে যেতেন। আমাদের সাথে বসতেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে কোনো সম্মান বা খেতাব দেওয়া হয়নি। আমরা চাই রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে খেতাব দেওয়া হোক।"