কর্মকর্তাদের ঘুষের বিষয়ে টিআইবির প্রতিবেদন উদ্দেশ্যমূলক, অনুমাননির্ভর: বিআরটিএ
বিআরটিএ সম্পর্কিত মোটরযান নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সনদ ইস্যু, নবায়ন, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়নে ঘুষ প্রদানসহ অন্যান্য বিষয়ে টিআইবির উপস্থাপিত প্রতিবেদন অনুমাননির্ভর ও উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
বুধবার (০৬ মার্চ) দুপুরে বিআরটিএ বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি টিআইবির এই প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সেটি প্রত্যাখান করেন।
টিআইবি চেয়ারম্যান বলেন, 'টিআইবির রিপোর্টে বিআরটিএসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুমাননির্ভর তথ্য, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন প্রতিবেদন প্রকাশে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। তবে টিআইবি যে গঠনমূলক ও বাস্তবধর্মী সুপারিশগুলো করেছে তা আমরা আমলে নিয়ে কাজ করব।'
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (৫ মার্চ) টিআইবির রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিবন্ধন ও সনদ হালনাগাদ করতে ৫২.৯ শতাংশ যাত্রীবাহী বাস বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) ঘুষ দেয়। বাসপ্রতি মাসিক ১৭ হাজার ৬১৯ টাকা ঘুষ আদায় করে বিআরটিএ। এভাবে বছরে ৯০০ কোটি টাকা ঘুষ আদায় করে সংস্থাটি।
টিআইবির গবেষণায় উঠে এসেছে, সড়কে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে ১৮.৯ শতাংশ বাসের রেজিস্ট্রেশন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস সনদ, ১৮.৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই।
আরও উঠে এসেছে, ৪০.৯ শতাংশ বাস শ্রমিক বিশ্বাস করেন যে তাদের কোম্পানির অন্তত একটি বাস রয়েছে, যেটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই।