এন্ডোস্কোপির সময় রোগীর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে রাহিব রেজার (৩১) মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কমিটিতে একজন আইনজীবীকে রাখতে বলা হয়েছে। এই কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
একইসাথে হাসপাতালে রাহিব রেজার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরিবারকে কেন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এছাড়াও চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধানে মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ল্যাবএইড কতৃপক্ষ, স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাহিব রেজার পরিবারের দায়ের করা এক রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১১ মার্চ) বিচারপতি কে. এম. কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে প্রকাশ, রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে রাহিব রেজা (৩১) নামক এক যুবকের মৃত্যু হয়। তিনি রাজধানীর স্টার্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্ট ম্যানেজার ও আইটি কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্বজনদের অভিযোগ, ল্যাবএইড হাসপাতালে পরীক্ষার রিপোর্ট না দেখেই রাহিব রেজাকে অ্যানেস্থেশিয়া (চেতনানাশক) প্রয়োগ করা হয়। শারীরিক জটিলতার মধ্যেই এন্ডোস্কোপি করা হয়। যে কারণে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পেটে গ্যাসজনিত সমস্যার কারণে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীল) কাছে যান রাহিব রেজা। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ল্যাবএইডে এন্ডোস্কোপি করানোর পরামর্শ দেন ডা. স্বপ্নীল।