এইচআইভিকে কোষ থেকে সফলভাবে কেটে ফেলার দাবি বিজ্ঞানীদের
নোবেলজয়ী ক্রিসপার জিন সম্পাদনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এইচআইভিকে সংক্রমিত কোষ থেকে কেটে ফেলতে সফল হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
কোষের আণবিক স্তরে অনেকটা কাঁচির মতো করে ডিএনএকে কেটে ফেলা যায়। এ কাঁচি দিয়ে ডিএনএর 'খারাপ' কোষগুলোকে সরানো বা নিষ্ক্রিয় করা যায়।
আশা করা হচ্ছে, এ পদ্ধতিতে শরীর থেকে এই ভাইরাস পুরোপুরি নির্মূল করা যাবে। তবে পদ্ধতিটি নিরাপদ ও কার্যকরী কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও অনেক কাজ করতে হবে।
বর্তমানে এইচআইভির যেসব ওষুধ আছে সেগুলো ভাইরাসটিকে ঠেকাতে পারে, কিন্তু নির্মূল করতে পারে না।
চলতি সপ্তাহে নেদারল্যান্ডসের আমাস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী একটি কনফারেন্সে এইচআইভিকে আলাদা করার ওপর তাদের প্রাথমিক গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন। তবে তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত তারা শুধু একটি ধারণাকে প্রমাণ করতে পেরেছেন। এ প্রযুক্তি এখনই এইচআইভির নিরাময়কারী হবে না।
ইংল্যান্ডের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেম-সেল ও জিন-থেরাপি প্রযুক্তির সহযোগী অধ্যাপক ড. জেমস ডিক্সন আমাস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, পূর্ণাঙ্গ ফলাফলের জন্য আরও যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, 'এ পদ্ধতিতে এইচআইভি-আক্রান্তদের সুস্থ করার আগে পদ্ধতিটির আরও অনেক উন্নতি করতে হবে।'
অন্যান্য বিজ্ঞানীরাও ক্রিসপার পদ্ধতি ব্যবহার করে এইচআইভি নিরাময়ের চেষ্টা করচেন।
লন্ডনের ফ্রান্সিস স্ক্রিক ইন্সটিটিউটের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. জনাথন স্টয় বলেন, শরীরের সমস্ত কোষ থেকে এইভআইভি সরানো 'অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং' কাজ।
এছাড়া এ চিকিৎসার দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
এইচআইভি ভাইরাস রোগপ্রতিরোধী সিস্টেমের কোষগুলোকে আক্রমণ করে নিজের অনুলিপি তৈরি করে।
এইচআইভিতে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর সারা জীবনই অ্যান্টিরিট্রোভাইরাল থেরাপি লাগে। ওষুধ নেওয়া বন্ধ করে দিলে এ ভাইরাস ফের সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।