ওয়ারেন বাফেটকে ছাড়িয়ে সপ্তম সেরা ধনী এলন মাস্ক
পুঁজিবাজারে সম্পদমূল্য বাড়ায় ওয়ারেন বাফেটকে ছাড়িয়ে ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স তালিকায় বিশ্বের সপ্তম সেরা ধনীর স্থান দখন করেছেন টেসলার মুখ্য নির্বাহী এলন মাস্ক।
স্থানীয় সময় গত শুক্রবার নাগাদ মার্কিন পুঁজিবাজারে মাস্কের সম্পদ্মুল্য আরও ৬শ' কোটি ডলার বাড়ে। এদিন টেসলার শেয়ারের দর বাড়ে ১০ দশমিক ৮ শতাংশের উচ্চগতিতে। ফলে দিনশেষে শেয়ারপ্রতি মূল্য বেড়ে এক হাজার ৫৪৪ ডলারে উন্নীত হয়। কোম্পানির সামগ্রিক বাজার মূল্যায়ন যার ফলে ২৮ হাজার ৬৫০ কোটি ডলারে পৌঁছে গেছে।
২০ দশমিক ৮ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা থাকায় কোম্পানির শ্রীবৃদ্ধি মাস্ককেও আরও ধনী করে তোলে। তার মালিকানাধীন অংশীদারিত্বের মূল্য এখন ৬ হাজার কোটি ডলার। টেসলার পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানায় পরিচালিত মহাকাশ অভিযান কোম্পানি স্পেস এক্সের মূল বিনিয়োগকারীও মাস্ক। এছাড়া তার মালিকানায় আরেকটি সুরঙ্গ নির্মাণ কোম্পানিও আছে।
এর আগে চলতি সপ্তাহে ওয়ারেন বাফেট, তার পরিচালিত বিনিয়োগ সংস্থা বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের তিনশ' কোটি ডলার সমমূল্যের শেয়ার দান করে দেন। নিজ মালিকানায় রাখা অধিকাংশ সম্পদ জনকল্যাণে দান করে দেওয়ার যে অঙ্গীকার বাফেট করেছেন-এ পদক্ষেপ ছিল তারই অংশ।
এদিকে গত ১২ মাসে কোম্পানি হিসেবে টেসলার বাজারমূল্য পাঁচশ' শতাংশ বেড়েছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ বা মার্কিন পুঁজিবাজারের শীর্ষ পাঁচশ কোম্পানির তুলনায় টেসলার উত্থানের গতি ছিল অবিশ্বাস্য দ্রুত। যার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ইলেকট্রিক কার নির্মাতা হয়ে উঠেছে টেসলা।
এ উত্থান অব্যাহত থাকলে অ্যামাজনের মুখ্য নির্বাহী জেফ বেজোসকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর স্থান দখল করে নিতে পারেন ৪৯ বছরের এলন মাস্ক। তার এই অবস্থান অর্জনে সহায়ক হতে পারে- ২০১৯ টেসলার শেয়ার হোল্ডাররা তাকে যে বিপুল পরিমাণ লভ্যাংশ বেতন হিসাবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেই বিষয়টি।
গত মে'র শেষ নাগাদ ওই 'পে প্যাকেজে'র আওতায় কোম্পানির আরও ১৮০ কোটি ডলার সমমূল্যের শেয়ারের মালিকানা পান মাস্ক। তবে এর দুই মাস আগেও তাকে এমন অংকের আরেকটি লভ্যাংশ দেওয়া হয়।
বিদ্যমান পে প্যাকেজের আওতায় এলন মাস্ক আগামী দশ বছরে টেসলার আরও ২ কোটি ৩ লাখ শেয়ারের মালিকানা পেতে পারেন।