প্রথমে কিডনি বিক্রির চেষ্টা, তারপর এটিএম বুথ লুট করতে গিয়ে নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যা করে আসামী
রাজধানীর গুলশানের শাহজাদপুরে মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মী হাসান মাহমুদকে হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আরিফুল ইসলাম (২৭) নামের ওই যুবকের কাছ থেকে এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, এটিম বুথ ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি, চেনি, শাবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
গ্রেপ্তারকৃত আরিফুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, এটিএম বুথের টাকা লুটের প্রক্রিয়া ইউটিউবে ভিডিও দেখে শেখেন।
ডিবি প্রধান বলেন, "আরিফুর রহমান গত ১০-১২ বছর যাবৎ বাসাবাড়ি ও অফিসে আসবাবপত্র পরিবহনের ব্যবসা করতেন। পরে বন্ধুদের পরামর্শে ইট, পাথর ও বালু বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু এতে সফলতা আসেনি, উল্টো ১৫ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পাওনাদারদের চাপে তিন চার মাস আত্মগোপনে ছিলেন। এসময় টাকার জন্য নিজের কিডনি বিক্রি করতে মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় লিফলেট লাগান।"
হারুন অর রশিদ বলেন, আরিফুল লুটের জন্য কম লোক সমাগম হয় এমন বুথকে বেঁছে নেন। সেই মোতাবিক শাহজাদপুরের মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথকে টার্গেট করেন। "ঘটনার আগে তিনি রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সেই এলাকায় অবস্থান করেন। এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে ঢুকে পড়েন। কিন্তু ওই সময় নিরাপত্তা কর্মী তাকে বাধা দিলে আরিফুল তাকে হত্যা করেন। তবে বুথের লকার সে ভাঙতে পারেনি।"
প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল ভোর পাঁচটার দিকে মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড হাসান মাহমুদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে এ ঘটনায় নিহতের ভাই মাহফুজুর রহমান রুমেল বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় আরিফুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।