সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ৭টি কোম্পানি দরপত্র কিনেছে: প্রতিমন্ত্রী
এখন পর্যন্ত ৭টি আন্তর্জাতিক কোম্পানি দেশের সমুদ্রে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে অংশ নিতে দরপত্র কিনেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার (৮ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে 'বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড ২০২৪' শীর্ষক একটি সেমিনার শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন যে অনেক কোম্পানি তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বাংলাদেশের জলসীমায় কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
'আজকের সেমিনারেও ১৫টির বেশি আন্তর্জাতিক কোম্পানি অংশ নিয়েছে,' বলেন তিনি।
গত মার্চে বঙ্গোপসাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা।
নসরুল হামিদ বলেন, 'বাংলাদেশের সমুদ্রে কাজ করার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে, করছে। এবারের দরপত্রে দেশের স্বার্থের পাশাপাশি বিনিয়োগকারী কোম্পানির স্বার্থও দেখা হয়েছে। ফলে এবারের দরপত্র নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী।'
সেমিনারের প্রথম সেশন শেষে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আগের দরপত্রের তুলনায় নতুন দরপত্রে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
'এবার অনেক সুবিধা বেড়েছে। এবার দুই পক্ষের জন্যই বিষয়টি লাভজনক করা হচ্ছে,' বলেন তিনি।
জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়া অনেক শান্তিপূর্ণ একটি এলাকা। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যারা দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করে, তারা এই বিষয়টি বিবেচনা করবে। এই এলাকায় বিনিয়োগ করা তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ।
'সার্বিক দিক বিবেচনায় মনে হচ্ছে, অনেকেই দরপত্রের প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। শেভরন দেশে চার বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এটাই প্রমাণ করে বাংলাদেশ কতটা সম্ভাবনাময়।'
এক দশকেরও বেশি আগে, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে, বঙ্গোপসাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য সর্বশেষ আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা। সেই দরপত্রে ৯টি ব্লকে অনুসন্ধানের সাড়া প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় এবং তিনটি ব্লক আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলো অধিগ্রহণ করেছে।
এর মধ্যে ৪ ও ৯ নম্বর ব্লক ভারতের ওএনজিসি পেয়েছে এবং ১১ নম্বর ব্লকটি পেয়েছে স্যান্টস। তবে ওই দরপত্র থেকে বাংলাদেশ কোনো ইতিবাচক ফল পায়নি।
অফশোর তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য শেষ দরপত্র ডাকা হয়েছিল ২০১৫ সালে। ২০১৯ সালে নতুন উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) স্বাক্ষর হলেও দরপত্র ইস্যু করা হয়নি। ের প্রায় চার বছর পর গত বছরের জুলাইয়ে নতুন পিএসসি অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।