এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: কলকাতার গোয়েন্দাদের নজরে এবার ক্যাব চালক, চলছে জেরা
পশ্চিমবঙ্গে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার-এর খুনের ঘটনায় এবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) নজরে এক অ্যাপ ক্যাব চালক।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে, আনার হত্যামামলার তদন্তের সূত্র ধরে ওই ক্যাব চালককে তলব করেছিল সিআইডি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) তাকে আটক করে সিআইডি গোয়েন্দারা জেরা করছেন বলে উল্লেখ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
চিকিৎসার জন্য গত ১২ মে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। কলকাতায় গিয়ে আনোয়ারুল আজিম দীর্ঘ ২৫ বছরের পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। টানা সাতদিন তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। উদ্বিগ্ন হয়ে শেষমেশ গোপাল বিশ্বাস স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন।
এরপর নিখোঁজ হওয়ার আট দিন বাদে বুধবার (২২ মে) জানা যায়, এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার খুন হয়েছেন। পুলিশের সূত্রসমূহের সন্দেহ, তিনি হয়তো সোনা চোরাচালানকারী একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে প্রাণ খুইয়েছেন।
আনার নিখোঁজ হওয়ার পর বন্ধু গোপাল বিশ্বাস থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথমে তদন্ত শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট, মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি।
কলকাতার নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে আনার ছিলেন বলে ধারনা স্থানীয় পুলিশের। সেই ফ্ল্যাটে রক্তের দাগ পাওয়ার পর নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণের পর বুধবারই সিআইডির আইজি অখিলেশ চতুর্বেদী ওই ফ্ল্যাটে ঘুরে যান বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ধারণা, ওই ফ্ল্যাটেই ছিলেন আনার। তিনি ওই ফ্ল্যাটে কীভাবে গেলেন, তা জানতে আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে আরম্ভ করেন গোয়েন্দারা।
আনন্দবাজার বলছে, তদন্ত করে কর্মকর্তারা জানতে পারেন, বরাহনগর থেকে একটি গাড়িতে করে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে পৌঁছান আনার। ইতিমধ্যেই সেই গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। আবাসনের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করে দেখে একটি অ্যাপ ক্যাবের খোঁজ পান গোয়েন্দারা।
ওই ক্যাবে চেপে কয়েকজন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে আবাসন ছাড়তে দেখা যায়। ওই ব্যক্তিদের খবর সংগ্রহ করতেই ক্যাবেটির চালককে আটক করে গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে উল্লেখ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।