ভারতে এমপি হত্যাকাণ্ড: মূল সন্দেহভাজন আমানুল্লাহ-ই চরমপন্থী নেতা শিমুল, খুনে সময় নেয় ৩০ মিনিট
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে (আনার) খুনের জন্য ভাড়া করা হয় খুলনা অঞ্চলের কুখ্যাত সন্ত্রাসী শিমুল ভূঁইয়াকে। তিনি চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম শীর্ষ নেতা। শিমুল ভুঁইয়া পরিচয় গোপন করে সৈয়দ আমানুল্লাহ নামে পাসপোর্ট নেন এবং সেই পাসপোর্টেই কলকাতা গিয়েছিলেন।
হত্যাকাণ্ডে আসামীরা সময় নিয়েছিল ৩০ মিনিট। গত ১৩ মে দুপুর ২.৫১ মিনিট থেকে পরবর্তী ৩০ মিনিটের মধ্যে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে আমানুল্লাহ নামে পাসপোর্টটি করা হয়েছিল। পাসপোর্ট করতে একই নামে জাতীয় পরিচয়পত্রও (এনআইডি) তৈরি করান। কীভাবে তিনি শিমুল ভূঁইয়া থেকে আমানুল্লাহ হলেন এবং ভুয়া পাসপোর্ট ও এনআইডি তৈরি করলেন, এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা।
এর আগে গতকাল ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের কাছে তিনি নিজেকে সৈয়দ আমানুল্লাহ বলে দাবি করেন। মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র পরে নিশ্চিত করেছে যে শিমুল ভূঁইয়াই নিজের নাম সৈয়দ আমানুল্লাহ বলে পরিচয় দিয়েছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিমুল জানান, সাংসদ আনোয়ারুল আজীমের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন তাকে ভাড়া করেছিলেন। এই খুনের জন্য তাঁর সাথে একটি চুক্তিও হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবিপ্রধান জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এপর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাকি গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।" এছাড়া খুনের জন্য পাঁচ কোটি টাকা চুক্তির বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।