ঢাকা আরিচা মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার যানজট
দিনের শেষে রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহুর্তে ঘরে ফেরার তাড়ায় শহরের কোলাহল ভর করেছে মহাসড়কে। ঘরমুখো মানুষকে নিয়ে যাওয়া যানবাহনের চাপে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ ৪৫ কিলোমিটার যানজট।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ব্যহত হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে মহাসড়কে। সর্বশেষ মহাসড়কের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে ঢাকার ধামরাই উপজেলার কালামপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত অপেক্ষামান যানবাহনের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে।
কিছু কিছু এলাকায় একদম থেকে আছে যান চলাচল। যানযট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। তবে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে বলে জানান তিনি।
মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানযটে আটকে থাকা প্রাইভেট কার যাত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, যানজট এড়াতে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে ভোরে রওয়ানা হয়ে সাত ঘন্টায় মানিকগঞ্জে এসেছেন। ঘাটে পৌঁছাতে এখনো বাকী রয়েছে আরও ৩৫ কিলোমিটার। বিকল্প কোন মাধ্যম না থাকায় ভোগান্তির পরেও ঘাটমুখী যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
মহাসড়কের বানিয়াজুড়ি এলাকায় শ্যামলী গাড়ির যাত্রী মফজেল হোসেন বলেন, দেশে রাস্তাঘাটের অবস্থা এখন বেশ ভালো। সেই তুলনায় একদম পিছিয়ে রয়েছে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুট। প্রতি ঈদেই এমন দুর্ভোগ পোহালেও সংশ্লিষ্ট কারো নজরে নেই এই মহাসড়ক ও নৌ-রুট।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ টি জেলার কয়েক লাখ মানুষের অন্যতম যাতায়াত মাধ্যম পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌ-রুট। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার যানবাহন প্রতি ঘাট দিয়ে পারাপার হলেও ঈদের সময় এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় কয়েকগুণ। যে কারণে ঘাট এলাকায় আগত যাত্রীদের পড়তে হয় চরম বিপাকে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সহকারি ব্যবস্থাপক মহীউদ্দীন রাসেল বলেন, মহাসড়কের যানজট ফেরিঘাটের পন্টুন পর্যন্ত। যে কারণে ফেরিতে লোড-আনলোডে খুব সমস্যা হচ্ছে। এতে করে ভোগান্তি বাড়ছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে মহাসড়কের যানজট খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরসনের জন্য হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।