ডর্টমুন্ডকে কাঁদিয়ে ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল রিয়াল মাদ্রিদ
সেই ওয়েম্বলি, ১১ বছর আগের দুঃস্মৃতি আবারও ফিরল ডর্টমুন্ডের কাছে। রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের সমৃদ্ধ ইতিহাসে যোগ করল আরেকটি পালক। নিজেদের রেকর্ডই আরও বাড়িয়ে ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতল লস ব্লাঙ্কোসরা। ফাইনালে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্ট্মুন্ডকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। আর এতে ২৭ বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ না জেতার খরা ঘোচানো হলো না ডর্ট্মুন্ডের।
এই ম্যাচ দিয়ে ক্লাব ফুটবলে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন টনি ক্রুস। নামের পাশে ছয়টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা নিয়ে বিদায় জানাচ্ছেন তিনি। ছয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতা খেলোয়াড় ক্রুস ছাড়াও আছেন আরও কয়েকজন। বলা বাহুল্য, তারা সবাই রিয়াল মাদ্রিদের।
প্রথমার্ধে একের পর এক গোল মিসের খেসারত দিয়েছে ডর্ট্মুন্ড। সুযোগ তৈরি করেও কখন বাজে ফিনিশ, আবার কখনও পোস্টে লেগে বল ফেরায় গোল বঞ্চিত হয় জার্মান ক্লাবটি। অপরদিকে পুরো ম্যাচেই চাপে থেকেও সুযোগ পাওয়া মাত্র কাজে লাগিয়ে নিজেদের রেকর্ড বাড়িয়ে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বলতে গেলে ডর্টমুন্ড একাই সুযোগ তৈরি করেছে। রিয়াল মাদ্রিদের দুয়েকটি শট বারের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া ছাড়া বলার মতো কিছুই ছিল না। কিন্তু সুযোগ পেয়েও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি হলুদ দলটি।
জুলিয়ান ব্র্যান্ডট মেরেছেন পোস্ট থেকে বাইরে, করিম আদিয়েমি তো গোলরক্ষককে একা পেয়েও পারেননি জালের ঠিকানায় বল পাঠাতে। পোস্টে লেগে ফিরেছে নিকো ফাল্করাগের চেষ্টাও।
এতকিছুর পরও অবশ্য দমে যায়নি রিয়াল। নিজেদের সব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ম্যাচে টিকে থাকে আনচেলত্তির দল। যার ফল তারা পায় ৭২ মিনিটে। যদিও গোলদাতা খুব একটা গোল করার জন্য পরিচিত নন। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন দানি কারভাহাল।
এরপরও সুযোগ তৈরি করতে থাকে দুই দলই। কিন্তু ডর্টমুন্ড ম্যাচে ফেরার সব আয়োজন পণ্ড করেছে নিজেরাই৷ ইয়ান মাতসেনের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে যান জুড বেলিংহাম। তার পাস ধরে অসধারণ এক ফিনিশে রিয়ালকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস। ৮৭ মিনিটে ডর্টমুন্ড এক গোল শোধ দিলেও তা অফসাইডে বাতিল হয়।