এমপি আনারের দেহাংশের সন্ধানে বাগজোলা খালে ভারতীয় নৌবাহিনীর তল্লাশি
কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার লাশের অংশের (মাথার খুলি ও হাড়) খোঁজে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের কাছে বাগজোলা খালে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর ডুবুরিরা। কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিমের (ডিএমজি) সদস্যরাও তাদের সাথে ছিলেন। এই খুনের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চলে এ অভিযান।
এর আগেও সেখানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেটা চালিয়েছিল সিআইডি। কিন্তু বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের দেহাংশ সেখানে মেলেনি। তাই অনুসন্ধান কাজে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে সাহায্য চায় সিআইডি। সেই মতো সোমবার ভারতীয় নৌবাহিনীর তিন জনের একটি প্রতিনিধি দল এবং সিআইডির একটি দল ওই খালে তল্লাশি করে। যদিও এবারও কিছু মেলেনি।
বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদকে খুনের পর দেহ টুকরো করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতের তদন্তকারীরা। খুনের পর দেহাংশগুলো লোপাট করা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, কিছু টুকরো বাগজোলা খালে ফেলা হতে পারে। এর আগে আনোয়ারুলের দেহাংশের খোঁজে সাতুলিয়া ও কৃষ্ণমাটি এলাকায় বাগজোলা খালে তল্লাশি চালিয়েছিল ভারতের সিআইডির বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সাংসদ খুনের ঘটনায় ধৃত জিহাদ হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি কর্মকর্তারা সেই তথ্য জানতে পেরেছিলেন। বেশ কয়েক বার সেখানে অভিযান চালানোর পরও কিছু মেলেনি। তার পরেই নৌবাহিনীর সাহায্যে চায় সিআইডি।
এর আগে কলকাতার নিউ টাউনের ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাঙ্ক এবং বর্জ্য যাওয়ার পাইপ-লাইন থেকে মাংসের টুকরো, মাথার চুল উদ্ধার করেছিল সিআইডি। সেগুলি ওই সাংসদের কি না, তা পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেয় তারা। সিআইডির কাছে সেপটিক ট্যাঙ্কে তল্লাশি চালানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তারকৃত তিন জন এবং পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া একজনকে জেরা করে এমনটাই সন্দেহ করেছিলেন হারুন। তদন্তকাজে বাংলাদেশের ডিবির একটি টিম নিয়ে তিনি কলকাতা সফরও করেছেন।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার