বটি কেলেঙ্কারি: বৃহস্পতিবার সচিবদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন পরিকল্পনা মন্ত্রী
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক ব্যয় নির্ধারণের বিষয়ে সকল মন্ত্রণালয়ের ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) আলোচনায় বসবেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।
সোমবার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি জানান, মন্ত্রণালয়গুলোর বিভিন্ন প্রকল্পে এরকম অনেক পণ্যের ক্ষেত্রে অনৈতিক দাম নির্ধারণের নমুনা দেখতে পেয়েছে পরিকল্পনা কমশিন।
মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয় নির্ধারণ হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।
সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের প্রস্তাবনায় একটি বটির দাম ধরা হয়েছিল ১০ হাজার টাকা। একনেক সভায় অনুমোদিত তিন হাজার ২শ' কোটি টাকার এ প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে- দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সংবাদ প্রকাশের পর; তা সংশ্লিষ্ট মহলের নজরে আসে।
পড়ুন: একটি বটির দাম ১০ হাজার টাকা!
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একনেক ভবন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য মিটিঙে বিভিন্ন প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয় নির্ধারণের এরকম কিছু কেস স্টাডি তুলে ধরবেন মন্ত্রী।
ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্পের ব্যয় যাচাই করার জন্য ফেরত পাঠিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। কিন্তু এর মাঝেই কমিশনের চোখ এড়িয়ে অনুমোদন পেয়েছে অনেক প্রকল্পই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রকল্পটিও এমনই একটি।
"যেহেতু সরকার দেশের উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়, সেই হিসেবে উন্নয়নমুখী অনেক প্রকল্পই অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু যেকোন ধরনের দুর্নীতি প্রকল্পের আশানুরূপ ফলাফল অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করবে। আর তাই কোন প্রকল্পে এধরণের অনিয়ম, জিনিসপত্রের এরকম অস্বাভাবিক ব্যয় নির্ধারণ মেনে নেওয়া হবে না।"
তিনি বলেন, প্রকল্পের বিভিন্ন পণ্যের ব্যয় নির্ধারণের দায়িত্ব থাকে সচিবদের উপর। তাদের উচিত কোন প্রকল্প প্রস্তাবনা ভালো করে যাচাই করে তারপর অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের কাছে পাঠানো।
সচিবরা যদি নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের কাজটুকু করেন, তাহলে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের কাজের চাপ কিছুটা হলেও কম হয় বলে জানালেন মন্ত্রী এমএ মান্নান।
তিনি আরও বলেন, "এই মিটিঙে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর প্রস্তাবনার মান ও এবিষয়ে সচিবদের দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করব আমি। প্রকল্পে জিনিসপত্রের এমন অস্বাভাবিক দাম উল্লেখ করার পেছনে কারণ তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করব এবং ভবিষ্যতে যাতে এরকম না হয় সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হবে।"