বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সের জন্য সাড়ে ৫ কোটি টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ
জয়, হার, জয়, জয়, হার, হার, হার; চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের চিত্র এটা। গ্রুপ ও সুপার এইট পর্ব মিলিয়ে সাত ম্যাচে তিন জয়। ফল বিবেচনায় একেবারে খারাপ নয়। কিন্তু ফল সব সময় আসল চিত্রের কথা বলে না। বাংলাদেশ দলের ক্ষেত্রে তাই। তিনটি ম্যাচ জিতলেও দলগতভাবে খুবই গড়পড়তা মানের ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ।
বোলিং আশানুরূপ হলেও ব্যাটিংয়ে দুর্দশা লেগেই ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। হাতেগোণা দুই-একজন ব্যাটসম্যান ছাড়া বেশিরভাগই ছিলেন রানখরায়। সর্বশেষ ব্যর্থতার প্রমাণ, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৯ ওভারে ১১৪ রানও করতে না পারা। বৃষ্টি আইনে ম্যাচটি ৮ রানে হারে বাংলাদেশ, এই হার দিয়ে শেষ হয় তাদের বিশ্বকাপ মিশন।
ব্যাটসম্যানদের রান করতে না পারা, খুব কাছে গিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে না পারা, সেমি-ফাইনালে ওঠার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারা; এমন সব বিষয়ের পাশাপাশি আরও হতাশা আছে বাংলাদেশের। এরপরও অবশ্য আইসিসি থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার পাচ্ছে বাংলাদেশ। সুপার এইট খেলা দলটি সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি টাকা পাচ্ছে।
আইসিসি এবার প্রাইজমানি দ্বিগুণ করেছে, সব দলেরই অর্থ পুরস্কার বেড়েছে। সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দল পাবে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার করে। বাংলাদেশও এই অর্থ পাচ্ছে, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে তিনটি, এখান পাবে ৯৩ হাজার ৪৬২ ডলার। বাংলাদেশের মোট অর্থ পুরস্কার ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫৪ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজারের বেশি।
এবারের মোট প্রাইজমানি ১ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। মোটা অঙ্কের প্রাইজমানি থেকে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। যা যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। গত দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ১৬ লাখ ডলার করে। রানার্স আপ দল পাবে ১২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। সেমি-ফাইনাল খেলতে পারলেও মিলবে বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কার। সেমি থেকে বাদ পড়া দুই দল পাবে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার করে।