চোরা শিকারের কারণে ভারতে চিতাবাঘের অস্তিত্ব মারাত্মক হুমকির মুখে
চোরাশিকার, দুর্ঘটনা ও মানুষের সঙ্গে সংঘাতের কারণে ভারতে চিতাবাঘের অস্তিত্ব মারাত্মক হুমকি মুখে পড়েছে। গত পাঁচ বছরে চিতাবাঘের মৃত্যুহার লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে।
ভারতের ওয়াইল্ডলাইফ প্রটেকশন সোসাইটি’র (ডব্লিউপিএসআই) তথ্য অনুসারে, দেশটিতে ২০১৮ সালে প্রতিদিন অন্তত একটি করে চিতাবাঘের মারা পড়ছে, যা ২০১৪ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ।
ভারতে ২০১৮ সালে মোট ৪৬০ টি ও ২০১৭ সালে ৪৩১টি, ২০১৬ তে ৪৪০টি, ২০১৫ তে ৩৩৯টি এবং ২০১৪ সালে ৩৩১টি চিতাবাঘ মারা পড়ার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ডব্লিউপিএসআই’র তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে চিতাবাঘের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭০১টি।
এরমধ্যে, মধ্যপ্রদেশে ১,৮১৭টি, কর্নাটকে ১,১২৯টি, মহারাষ্ট্রে ৯০৫টি, ছত্তিশগড়ে ৮৪৬টি, তামিল নাড়–তে ৮১৫টি, উত্তরখন্দে ৭০৩টি, কেরালায় ৪৭২টি, উড়িষ্যায় ৩৪৫টি, অন্ধপ্রদেশে ৩৪৩টি, উত্তর প্রদেশে ১৯৪টি, গোয়ায়, ৭১টি বিহারে ৩২টি ও ঝাড়খন্দে ২৯টি চিতাবাঘ হিসেব করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদীদের মুল উদ্বেগের কারণ হচ্ছে চোরাশিকার। ২০১৮ সালে ভারতজুড়ে ১৫৫টি চিতাবাঘ শিকার বা চোরাশিকার করা হয়েছে।
সংরক্ষণবাদী ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক লেখিকা প্রেরণা সিং বিন্দা বলেন, ‘ফ্যাশনের প্রয়োজনে চামড়া ও হাড়ের জন্য চিতাবাঘ নিধন করা হয়ে থাকে।’
বিশ্বব্যাপী বন্যপ্রাণী বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্ঘটনা, গ্রামবাসীর দ্বারা হামলা বা বন বিভাগের কার্যকলাপের কারণে এইসব চিতাবাঘ মারা পড়ে। ২০১৮ সালে ভারতবর্ষ জুড়ে দুর্ঘটনায় ৭৪ টি চিতাবাঘ মারা পড়ে। বেশির ভাগ দুর্ঘটনা জাতীয় উদ্যান ও বন্যপ্রাণী অভয়ারণের ভিতরে ঘটে থাকে।
এছাড়া, ২০১৮ সালে প্রাকৃতিক বা অন্যান্য কারণে ১৯৪টি, গ্রামবাসীর আক্রমণে ৭৯টি ও বন বিভাগের কারণে ৯টি বাঘ মারা পড়ে।
এসব চিতাবাঘ শিকারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসে এবং মানুষের সঙ্গে সংঘাতে তারা মারা পড়ে।