সর্বোচ্চ আদালতের স্থিতাবস্থার পর কেউ রাস্তা আটকালে ব্যবস্থা নেব: পুলিশ
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেছেন, কোটা পদ্ধতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালত ইতোমধ্যে রায় দেওয়ার পরও কেউ রাস্তা বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে পুলিশ প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহিদ উদ্দিন বলেন, যারা আন্দোলন করছেন, তাদের প্রতি পুলিশের অবশ্যই ভালোবাসা-সহমর্মিতা আছে।
'কিন্তু সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, দেশের প্রচলিত আইন ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে আমরা বাধ্য। যেহেতু শিক্ষার্থীরা শিক্ষিত, তাই ডিএমপির পক্ষ থেকে আমি বিনীত অনুরোধ করছি, তারা যেন মানুষকে কোনো দুর্ভোগ দিয়ে কর্মসূচি না দেন,' বলেন তিনি।
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে হাইকোর্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন।
'কোটা আন্দোলনকারীদের কাউকে আগামী চার সপ্তাহ সড়কে বসতে দেবে না পুলিশ। আজ থেকে শিক্ষার্থীদের আর জনদুর্ভোগ করার কোনো অবকাশ আছে বলে মনে করে না ঢাকা মহানগর পুলিশ,' বলেন মহিদ উদ্দিন।
আন্দোলনকারীরা নির্দেশ না মানলে পুলিশ কী ব্যবস্থা নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের আইন ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এটা অপরাধ বলে গণ্য হবে।
মহিদ উদ্দিন বলেন, গত ১০ দিন ধরে ঢাকার শাহবাগ ও সায়েন্স ল্যাবসহ বিভিন্ন স্থানে জনসাধারণের যানবাহন ও চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। মানুষ যাতে নিরাপদে চলাচল করতে পারে তার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছে।
'পুলিশ সবার অধিকারের বিষয়ে যেমন শ্রদ্ধাশীল, তেমনি মহানগরবাসীর নিরাপত্তায় ও গমনাগমনের জন্য পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করে,' বলেন তিনি।
মাহিদ উদ্দিন বলেন, 'পুলিশ অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও ধৈর্যের সঙ্গে আন্দোলনকে মোকাবিলা করেছে। আমরা আশা করি, শিক্ষার্থীরা এটাকে সম্মান করবেন।'
'সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের পক্ষেই রয়েছে। তাই পরবর্তী কর্মসূচির কোনো যৌক্তিকতা নেই,' বলেন অতিরিক্ত কমিশনার।