সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপসহ তিন পুলিশ রিমান্ডে
মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় র্যাব সদস্যরা তাদের জেলা কারাগার থেকে নিয়ে যায়।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিমান্ডে নেওয়া অন্য দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও একই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত।
এর আগে সোমবার আদালতের নির্দেশের ১২ দিন পর তাদের রিমান্ডে নেওয়ার ঘোষণা দেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ।
তিনি জানান, সিনহা হত্যাকাণ্ডের দিন পুলিশের জব্দ করা ২৯টি ইলেকট্রনিক ডিভাইস হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন করেছেন তারা।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শ্যামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি তদন্ত শুরুর পরপরই কক্সবাজারে যান আইজিপি ও সেনাপ্রধান।
৫ আগস্ট টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। পরদিন ওসি প্রদীপসহ সাত অভিযুক্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
ওই দিনই দুই দফায় শুনানি শেষে তিন পুলিশ কর্মকর্তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর কয়েকদিন পর বাকি চার পুলিশ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৪ আগস্ট এএসআই লিটনসহ চার পুলিশ সদস্যকে কারাগার থেকে হেফাজতে নেয় র্যাব। তবে বারবার পেছাতে থাকে পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলালকে রিমান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া।
অবশেষে সোমবার রাতে কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, মঙ্গলবার ওই তিন কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হবে। সিনহা হত্যাকা-ের পর পুলিশের জব্দ করা ল্যাপটপ, হার্ডডিস্কসহ ২৯টি ডিভাইস নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।