৮শ’ কোটির প্রবৃদ্ধিতে পৃথিবীর চতুর্থ সেরা ধনী এলন মাস্ক
মার্কিন ইলেকট্রিক কার উৎপাদক টেসলার মুখ্য নির্বাহী এলন মাস্কের আর্থিক উত্থান থামার কোনো লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে না। স্পষ্টভাষী ও ঠোঁটকাটা বলে পরিচিত এ উদ্যোক্তা এখন দখল করেছেন বিশ্বের চতুর্থ সেরা ধনীর আসন।
এ অর্জনে সহায়ক হয় টেসলা ইঙ্কের শেয়ার দর প্রবৃদ্ধি। গত সোমবার যার ১১ শতাংশ দর উত্থান হয়। এই জোয়ারে মাস্কের সম্পদ মূল্য ৭৮০ কোটি ডলার বাড়ে।
পুঁজিবাজারে সম্পদমূল্য বাড়ায় টেসলা নির্বাহী এখন ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে; অমার্কিনী (যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন) ধনীদের মধ্যে সেরা এবং ইতোপূর্বে চতুর্থ স্থানে থাকা ফরাসি বিলাসপণ্য ব্যবসায়ী বের্নার্ড আর্নল্টের স্থান দখল করেছেন। তবে পৃথিবীর শীর্ষ ৫০০ ধনী তালিকায়- তৃতীয় স্থানে থাকা ফেসবুক মুখ্য নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে তার ব্যবধান এখনও ১৫শ' কোটি ডলার। খবর ব্লুমবার্গের।
সোমবার পুঁজিবাজারে দর উত্থান শুধু এলন মাস্কের জয়ের পালকই ভারি করেছে। অথচ মাত্র বছর দুয়েক আগেই মাস্ক মার্কিন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ইউএস সিক্যুউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। কোম্পানির বাজার নিবন্ধন নিয়ে বিতর্কিত টুইটের জেরে ওই সময় তিনি কোম্পানি চেয়ারম্যানের পদটিতেও ইস্তফা দেন।
মার্কিন পুঁজিবাজারে প্রযুক্তিখাতের উত্থান অব্যাহত আছে। তার প্রভাবটা টেসলা ইঙ্কের শেয়ারে একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে। চলতি বছর টেসলার বাজারমূল্য বাড়ে ৩৩৯ শতাংশ। অচিরেই কোম্পানিটি মার্কিন মূলধনী বাজারের শীর্ষ পাঁচশ' বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০'এ অন্তর্ভুক্ত হবে এমন প্রত্যাশা থেকেই শেয়ার দর চাঙ্গা রয়েছে টেসলার।
মাস্কের মহাকাশ অভিযান কোম্পানি স্পেস-এক্স তার বাড়ন্ত সৌভাগ্যে নতুন গতি যুক্ত করতে পারে। কোম্পানিটি অচিরেই দুইশ' কোটি ডলারের একটি বড় বিনিয়োগ পেতে চলেছে। যার ফলে স্পেস-এক্সের সম্পদ মূল্যায়ন উন্নীত হতে পারে চার হাজার ৬শ' কোটি ডলারে।
চলতি বছর এলন মাস্কের সম্পদ বেড়েছে পাঁচ হাজার ৭২ কোটি ডলার। ব্লুমবার্গ বিশ্বসেরা ধনী তালিকায় শীর্ষে থাকা অ্যামাজন ইঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা- জেফ বেজোসের পর যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্পদ প্রবৃদ্ধির ঘটনা।
২০২০ সালে পৃথিবীর শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের মোট সম্পদ; ৭ হাজার তিনশ কোটি ডলার বেড়ে পৌঁছেছে ১৮ হাজার ৮শ' কোটিতে।