চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে অঝোরে কাঁদলেন মেসি
নিজেই ততোক্ষণে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন, ইশারায় বলে দিয়েছেন ওই পা নিয়ে আর খেলতে পারবেন না। বদলি খেলোয়াড় নিকোলাস গঞ্জালেস ডাক আউটে প্রস্তুত, কিন্তু মাঠ ছাড়তে গিয়ে লিওনেল মেসির শরীর যেন ভারী হয়ে উঠলো। খোঁড়াতে খোঁড়াতে শরীরটাকে টেনে নিয়ে গেলেন মাঠের বাইরে, ডান পা থেকে খুলে ফেলা বুট মাটিতে আছড়ে ফেলে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। বেঞ্চে বসে দুই হাতে মুখ ঢেকে অঝোরে কেঁদে গেলেন মেসি।
কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ৬৬ মিনিট পর্যন্ত মাঠে থেকেও কিছু করতে পারেননি। দলের শিরোপা জয় তখনও অনিশ্চিত, এমন সময়ে ডান পায়ের চোটে নিজেই মাঠ ছাড়া; বাকি মিনিটগুলো তাই যেন তার কাছে তখন হয়ে উঠেছিল পরম চাওয়ার।
কিন্তু চোটের ডান পায়ে দুইবার আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হতে হলো ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছে যাওয়া মেসিকে। কে জানে শেষ ফাইনাল ভেবেই শিশুর মতো কেঁদে উঠলেন কিনা রেকর্ড আটটি ব্যালন ডি'অর জয়ী। মাঠ ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা গেছে, ডান পায়ের গোড়ালি বেশ ফুলে গেছে মেসির।
কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার মিশনে কলম্বিয়ার বিপক্ষে গোছালো ফুটবল খেলতে পারছিল না আর্জেন্টিনা, চেনা ছন্দে খেলতে পারছিলেন না মেসিও। অধিনায়ক হিসেবে চাপ অনুভব করা তারকা এই ফরোয়ার্ড ৩৬তম মিনিটে সামর্থ্যের বাইরেও গিয়ে যেন চেষ্টা করতে চাইলেন। কিন্তু বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি, উল্টো কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার সান্তিয়াগো আরিয়াসের বিপজ্জনক ট্যাকেল ডান পায়ে আঘাত পান মেসি।
দীর্ঘদিন ধরে এই ডান পায়ের চোটেই ভুগছিলেন মেসি। কোপার একটি ম্যাচে খেলা হয়নি তার, এক ম্যাচে খেলেন পুরো ফিট না হয়েই। সেই পায়েই আবারও আঘাত, ব্যথায় মাঠে শুয়ে পড়েন তিনি। সেখানেই প্রাথমিক শুশ্রূষা শেষে খেলতে শুরু করেন মেসি। তবে বোঝা যাচ্ছিল অস্বস্তি হচ্ছে তার। সেই অস্বস্তি দুঃস্বপ্নে হয়ে আসে ৬৩তম মিনিটে। বল দখল করার লড়াইয়ে দৌড়াতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান মেসি। এরপরই নিজেকে বদলানোর ইশারা দেন তিনি।