কাশ্মীরে ৫০ হাজার ব্যক্তিকে সরকারি চাকরি দেবে ভারত
বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজার হাজার সরকারি চাকরি দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
নয়াদিল্লির নিয়োগপ্রাপ্ত গভর্নর সত্য পাল মালিক ওই অঞ্চলের (কাশ্মীর) বৃহত্তম নিয়োগের উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৫০ হাজার শূন্যপদ পূরণের পরিকল্পনা করছেন।
বুধবার (২৮ আগস্ট) ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরে এক সংবাদ সম্মেলনে মালিক আরও বলেন, সরকার এখানকার আপেল চাষীদের ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
ভারত কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, সরকারের এ উদ্যোগের ফলে ওই অঞ্চলের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে, বিশেষ করে ঝুঁকিতে থাকা আপেল বাগানের জন্য ভালো হবে।
অনেকটা আশ্চর্যজনকভাবে সংবিধানে কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার কেড়ে নেয়াকে দেশটির কর্মকর্তারা তাদের অর্থনীতির উন্নয়নের পদক্ষেপ হিসেবেই ব্যাখ্যা করেন। মন্দা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে তারা ওই অঞ্চলের জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনেরও পরিকল্পনা করছেন।
তবে কাশ্মীরের জনগণের অনেকেই বিশ্বাস করেন যে বিশেষ মর্যাদার সাথে এ অঞ্চলের অর্থনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বরং বিশেষ অধিকার কেড়ে নেয়াকে ভারত সরকারের আগ্রাসন হিসেবেই দেখেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় ভারত। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ওই রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে বিভক্ত করার একটি বিল পাশ করানো হয়েছে।
নতুন এ আইনের ফলে বাইরের যে কেউ এখন সেখানে জমি কিনতে পারবেন। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করা কাশ্মীরিরা বলছেন, বাইরের মানুষদের সেখানে জমি কেনার অধিকার দিয়ে সেখানকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্যকেই পাল্টে দিতে চায় সরকার।