‘৩ কোটি টাকার চেকের বিনিময়ে ডিসি পদায়ন’: ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন
তিন কোটি টাকার ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসি'র পদায়ন ঘটনা তদন্তে এক সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার দেশের একটি সংবাদপত্র 'দৈনিক কালবেলা'-তে 'তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন!' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এ কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে।
এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে। তাকে সাচিবিক সহযোগিতা করবেন একই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কে এম ইয়াসির আরাফাত। এই কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে চেকের সত্যতা যাচাই করে সুষ্পষ্ট মতামতসহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
সচিবালয় ও গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিতর্কিত ডিসি নিয়োগকাণ্ডের অন্যতম হোতা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের (এপিডি) কক্ষ থেকে তিন কোটি টাকার একটি চেক উদ্ধার করা হয়েছে। পদায়ন হওয়া এক জেলা প্রশাসকের পক্ষে ওই যুগ্ম সচিবকে চেকটি দেন এক ব্যবসায়ী। তবে কাঙ্ক্ষিত জেলায় পদায়ন না হওয়ায় চেকের বিপরীতে টাকা জমা দেননি ডিসি। অন্যদিকে, সব কিছু ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চেকদাতা ওই ব্যবসায়ী। বিষয়টি নিয়ে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে।
কালবেলা তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, এবারের ডিসি নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ডিসি ফিটলিস্ট তৈরির আগেই এসব অর্থের লেনদেন হয়। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দুজন যুগ্ম সচিবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।
এর অংশ হিসেবে তিন দিন আগে মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ এপিডি অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব ড. জিয়া উদ্দিন আহমেদের কক্ষ থেকে ৩ কোটি টাকার চেক উদ্ধার করে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। সঙ্গে চেকদাতার এনআইডির ফটোকপিসহ ডিসি নিয়োগ-সংশ্লিষ্ট কিছু কাগজপত্র এবং চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। যেখানে ডিসি নিয়োগ সম্পর্কিত ইঙ্গিতপূর্ণ কিছু বিষয় রয়েছে।