ডেঙ্গুতে মারা গেলেন সেই সিরাতুল
মাত্রই গত জুনে সিরাতুল ইসলামের দেহে সফলভাবে লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু এরপর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তিনি। কদিন ভোগার পর ১২ আগস্ট কোরবানির ঈদের সময় মারা যান তিনি।
প্রায় এক মাস আগে সিরাতুলের মৃত্যু হলেও তা এতদিন প্রকাশ পায়নি। একটি নিউজ পোর্টালে বিষয়টি প্রকাশের পর রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে সিরাজুলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
অধ্যাপক বড়ুয়া বলেন, ““লিভার প্রতিস্থাপনের পর সুস্থ হয়ে সিরাতুল বাড়ি ফিরে যান। সেখানে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। তার অবস্থার অবনতি হলে ঈদুল আজহার সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বিএসএমএমইউতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয় তার। একেবারে খারাপ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ফলে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।”
লিভার সিরোসিতে আক্রান্ত ২০ বছর বয়সী সিরাতুলের দেহে গত ২৪ জুন যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে (বিএসএমএমইউ) এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
এদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৫০ জনের একটি টিম সফলভাবে সিরাতের দেহে লিভার প্রতিস্থাপন করেন। এটিই দেশের প্রথম সফল যকৃত বা লিভার প্রতিস্থাপন।
এ কাজে নেতৃত্ব দেন বিএসএমএমইউএর হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জুলফিকার রহমান খান। সার্জারিতে তাকে সহযোগিতা করেন ভারতের খ্যাতনামা লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন ড. বালাচন্দ্র মেনন ও তার চিকিৎসকদল।
মায়ের দানকৃত লিভারের একাংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয় ছেলের শরীরে।
তবু বাঁচানো গেল না সিরাতুলকে। প্রাণঘাতী ডেঙ্গু তার মায়ের কাছ থেকে তাকে কেড়ে নিল।