পুলিশের সাবেক ডিসি জসিম উদ্দীন গ্রেফতার, হাজির করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি - ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দীনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার কাউকে এই প্রথম ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলো বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে তিনটার পর একটি সাদা হাইয়েস গাড়িতে করে তাকে আনা হয়। ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, 'জুলাই গণহত্যার আসামি মিরপুরের সাবেক ডিসি জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজই ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তাকে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে।'
এর আগে সকালে আবদুল্লাহ আল নোমান ডিসি জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।
গত ১৩ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো. মাহবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মো. জসিম উদ্দীন মোল্লাকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
এরআগে, গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। আর বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ২০ জনকে হাজির করতে ২৭ অক্টোবর নির্দেশ দেন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল। সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, দীপু মনি, ফারুক খানসহ ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয়– সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কমকর্তা জিয়াউল আহসানসহ আরও ৬ জনকে।
ওই দিন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে অভিযোগ জমা পড়ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর এপর্যন্ত ৭৫টির মতো অভিযোগ জমা পড়েছে বলে প্রসিকিউশন সূত্র জানায়।