আজ বাফুফের নির্বাচন
বহুল আলোচিত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন আজ। সোনারগাঁও হোটেলে শনিবার দুপুর ২টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। চলবে ৬টা পর্যন্ত। এরআগে বেলা ১১টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা।
চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনে এবারও সভাপতি পদে লড়ছেন কাজী সালাউদ্দিন। সম্মিলিত পরিষদ থেকে সভাপতি পদে লড়ছেন গত ১২ বছর ধরে বাফুফে প্রধানের পদে থাকা সাবেক এই তারকা ফুটবলার।
সভাপতি পদে লড়ছেন শফিকুল ইসলাম মানিক। শেষ মুহূর্তে সুর পাল্টে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন আরেক সভাপতি প্রার্থী বাদল রায়। শেখ মোহাম্মদ আসলাম-মহিউদ্দিন মহির নেতৃত্বে গড়া সমন্বয় পরিষদ থেকে সভাপতি পদে লড়বেন তিনি। যদিও তার পরিষদ থেকে এ ব্যাপারে কোনো ঘোষণা আসেনি।
নির্বাচনে লড়ার কথা ছিল না তার। সভাপতি পদে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েও শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন বাদল রায়। অসুস্থতার কথা জানিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর স্ত্রী মাধুরী রায়কে দিয়ে নির্বাচন কমিশনার বরাবর প্রত্যাহারপত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর বাদল রায়ের প্রত্যাহারপত্র নির্বাচন কমিশনারের হাতে পৌঁছায়। যে কারণে ব্যালট পেপারে নাম থাকবেও বাদল রায়েরও। নাম থেকে যাওয়ায় শুক্রবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
শনিবার দুপুর ২টা থেকে শুরু হতে যাওয়া ভোটযুদ্ধে রায় দেবেন সারা দেশ থেকে আসা ১৩৯ জন ভোটার। সভাপতি পদটি ছাড়া এই নির্বাচনে আছে আরও ২০টি পদ। ২১টি পদে এবারের নির্বাচনে মোট ৪৭ জন প্রার্থী লড়ছেন।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে লড়বেন দুজন। এই পদটিতে লড়াই হবে সম্মিলিত পরিষদের সালাম মুর্শেদী ও শেখ আসলামের মধ্যে। চারটি সহ-সভাপতি পদে লড়বেন ৮ জন। সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচন করছেন কাজী নাবিল আহমেদ, ইমরুল হাসান, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও আমিরুল ইসলাম বাবু।
সমন্বয় পরিষদ থেকে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান ও আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান। এ ছাড়া স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন তাবিথ আউয়াল। ১৫টি সদস্য পদে লড়াই করছেন ৩৪ জন প্রার্থী।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মেজবাহ উদ্দিন। কমিশনার হিসেবে থাকবেন মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী ও মোহাতার হোসেইন সাজু। গত বৃহস্পতিবার থেকে নির্বাচনী ভেন্যু হোটেল সোনাগাঁওকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ভোটের দিন বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন পুলিশ ও এনএসআইয়ের সদস্যরা। এ ছাড়া আরও একটি নিরপত্তা দল থাকবে ভেন্যুতে।