ঢালাওভাবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল ‘বিগত অতিনিয়ন্ত্রণবাদী কাঠামোর অগণতান্ত্রিক চর্চারই পুনরাবৃত্তি’: সম্পাদক পরিষদ
প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্টের (পিআইডি) তিন ধাপে ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কাউন্সিলের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, এটি 'বিগত অতিনিয়ন্ত্রণবাদী কাঠামোর অগণতান্ত্রিক চর্চারই পুনরাবৃত্তি'।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের কোনো অপব্যবহার হলে তা রিভিউ করার অধিকার তথ্য মন্ত্রণালয় রাখে। তবে এভাবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও অপরাধের প্রমাণ ছাড়াই ঢালাওভাবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের পদক্ষেপ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের অন্তরায়।'
কাউন্সিলের মতে, 'এর মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমে সেন্সরশিপসহ নিয়ন্ত্রণবাদী পরিবেশ তৈরির ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, যা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মূল চেতনারও পরিপন্থী।'
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও অপরাধের প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের ঢালাও পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য পিআইডির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।
সর্বশেষ ৭ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার ১১৮ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে, যার ফলে মোট ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল হয়েছে।
প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালা-২০২২-এর বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী এই অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল করা হয়েছে।
যেসব সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন-একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, এটিএন নিউজের সাবেক প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নী সাহা এবং দৈনিক আমাদের সময় ডটকমের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান প্রমুখ।