এমসি কলেজে ধর্ষণের দায় স্বীকার করলো আরও দুই আসামি
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘর্ষবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামী তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাসুম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আজ রোববার (৪ অক্টোবর) সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে তারেক এবং মহানগর হাকিম-২ সাইফুর রহমানের আদালতে মাহফুজ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
দুই আসামীর স্বীকারোক্তি প্রদানের কথা নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, তারা দুজনই ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে। জবানবন্দি প্রদান শেষে তাদের কারগারে পাঠানো হয়েছে।
এনিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৮ আসামীই নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিল।
জবানবন্দিতে আসামীরা জানায়, ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে প্রাইভেট কারের মধ্যে ওই তরুণীকে ৪ জন ধর্ষণ করে। বাকি ৪ জন তরুণীকে তুলে আনা, ধর্ষণ ও তার স্বামীকে মারধরে সহায়তা করেছে।
এরআগে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার দুপুরে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে তারেক ও মাহফুজকে আদালতে হাজির করে শাহপরান থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামী করা হয়।
মামলায় অভিযুক্তরা হলো; এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেকুল ইসলাম তারেক। মামলার অপর তিন আসামী অজ্ঞাত।
এ ঘটনায় এজাহারভূক্ত ছয় আসামিসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে প্রত্যেককে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এরমধ্যে গত শুক্র ও শনিবার সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল, রাজন আহমদ ও আইনুদ্দিনকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তারা ধর্ষণের দায় স্বীকার করে নিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে।